কলকাতা: ২ এপ্রিল থেকে শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। দীর্ঘ দু-বছর অনলাইনের আড়াল সরিয়ে ফের চেনা ছন্দে ফিরছে পঠন-পাঠন। তবে কিছুটা অনভ্যাস এবং ভীতির কারণে মিলিয়ে অফলাইন পরীক্ষায় বেশ অনীহা রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। যদিও শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার্থীদের সুবিদার্থে সিলেবাস কমিয়ে আনা হয়েছে অনেকটাই। কাজেই মাথা ঠাণ্ডা রেখে সঠিক পদ্ধতিতে টু দ্য পয়েন্ট উত্তর লিখে আসতে পারলেই নম্বর মিলবে। যাঁদের নিউট্রিশন রয়েছে, তাঁরা কীভাবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেবেন, তারই পরামর্শ দিলেন শিক্ষিকা শুভদ্রা স্যান্যাল মুখোপাধ্যায়।
বিষয়- নিউট্রিশন
শিক্ষিকা- শুভদ্রা স্যান্যাল মুখোপাধ্যায়
নম্বর বিভাজন এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়
পার্ট-এ (পূর্ণমান ৩৫, ৫x৭)
- প্রথম অধ্যায়: (৭x২)
পুষ্টিসাধন পদ্ধতি ও ক্যালোরির ধারণ
- দ্বিতীয় অধ্যায়: (১x৭)
পথ্য বিজ্ঞান, পথ্য পরিকল্পনার প্রথম চারটি সাব চ্যাপ্টার
- তৃতীয় অধ্যায়: (২x৭)
সমাজের জন্য পুষ্টি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি
১.ভারতের সাধারণ অভাব জনিত রোগসমূহ
২.অনুপূরক খাদ্য
৩.খাদ্য তালিকার ব্যবহার, খাদ্যদ্রব্যের পুষ্টিমূল্য নির্ণয়
পার্ট-বি (পূর্ণমান ৩৫)
প্রথম অধ্যায়
এক নম্বরের ৮টি MCQ
এক নম্বরের ৪টি SCQ
দ্বিতীয় অধ্যায়:
১ নম্বরের ৮টি MCQ
১ নম্বরের ৫টি SCQ
তৃতীয় অধ্যায়
১ নম্বরের ৫টি MCQ
১ নং-এর তটি SCQ
বাকি ৩০ নম্বরের প্র্যাক্টিক্যাল হয়ে গিয়েছে আগেই
অভাবজনিত রোগ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ
- প্রোটিন এনার্জি ম্যাল নিউট্রিশন (PEM)
- অ্যানিমিয়া (কেন হয়, কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় ইত্য়াদি)
- ভিটামিনের ডেফিসিয়েন্সি
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ভারত সরকারে তরফে অ্যামিনিয়া প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্কুলের পড়ুয়াদের ফলিক অ্যাসিড আয়রণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়। তাই এই ট্যাবলেটের কম্পোজিশনগুলো জানাও জরুরি। এই সংক্রান্ত প্রোগ্রামের বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখা দরকার। সুতরাং পড়ে যেতে হবে এই অংশটিও।
এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ
এসডিএ ( Specific Dianamic Action) (দু নং-এর প্রশ্ন হিসেবে বড় প্রশ্নের সঙ্গেও আসতে পারে বা ১ নং হিসেবেও আসতে পারে)
বিএমআর (পুরুষ-নারী উভয়ক্ষেত্রেরই) ধরা যাক পুরুষের বিএমআর লিখতে হবে সে ক্ষেত্রে লিখতে হবে- ৩৭ থেকে ৪০ কিলো ক্যালোরি প্রতি বর্গমিটার দেহতল, প্রতি ঘণ্টায়। এই পুরোটাই বলতে হবে। অন্যথায় সম্পূর্ণ নম্বর মিলবে না।
- প্রথম বড় অধ্যায়ে জোর দিতে হবে। বিপাক-পরিপাকের কোনও অংশই বাদ দেওয়া যাবে না। (ক্রেবস সাইকেলটি অত্যন্ত জোর দিয়ে পড়বে)।
- ছোট ছোট সাইকেলগুলো (কোরি সাইকেল ও অর্নিথিন সাইকেল) ৩ নং-এর জন্য পড়ে যেতে হবে।
- আন্ত্রিক রস
- প্রোটিন পরিপাক
- যকৃৎ-এর সমস্ত কাজ পড়তে হবে। বিশেষত রক্ত সম্পর্কিত কাজ পড়তে হবে ভাল করে।
যে প্রশ্নগুলো অবশ্যই পড়ে যাবে
- ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি রেশিও (PAR)
- মনে রাখতে হবে বিএমএর, খাদ্যের ক্যালোলি মাপার এককের নাম
- উৎসেচকের কাজ
- অঙ্কুরদ্গমের গুরুত্ব
- মিজল কী
- কাইলোমাইক্রণ কাকে বলে
- কিটোজেনিক অ্যামাইনো অ্যাসিড কাকে বলে
- গ্লুকোজেনিক অ্যামাইনো অ্যাসিড কাকে বলে
- মাল্টিপারপাস ফুড
- হাইপারগ্লাইসেমিয়া
- হাইপোগ্লাইসেমিয়া
- গ্লাইকোসুরিয়া
বোনাস টিপস
- প্রথমে পার্ট বি-এর ছোট প্রশ্নের উত্তর লিখে ফেললে সময় মিলবে বেশি
- প্রথম ১৫ মিনিটে প্রশ্ন বাছাই জরুরি
- পার্ট মার্কিং রয়েছে এমন প্রশ্ন লেখাই বুদ্ধিমানের। তাতে ভাগে ভাগে নম্বর উঠবে সহজে।
- চটজলদি নম্বর পেতে গল্পের আকারে নয়, চার্ট করে পার্থক্য লিখতে হবে। পার্থক্যের চার্টে রাখতে হবে সাব হেড
- পাতার পর পাতা গল্প লেখা নয়। পয়েন্ট করে লিখলে নম্বর উঠবে বেশি।
- কালো-নীল দুটি কালি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- পার্থক্য লিখলে অবশ্যই পয়েন্ট করে লিখতে হবে। পার্থক্য কখনই প্যারাগ্রাফ করে লিখবে না।
- অকারণে উত্তর বড় করার প্রয়োজন নেই।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI