IAS Girisha Chaudhary: কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও ধৈর্য অটুট থাকলে, আত্মবিশ্বাস বজায় থাকলে যে কোনো কঠিন কাজও অনায়াসে সম্ভব হয়ে যায়। এভাবেই সাফল্য লাভ সম্ভব। হরিয়ানার কর্নালের তরুণী গিরিশা চৌধুরী এই সত্যকেই আরো একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন নিজের কঠিন পরিশ্রমে (Success Story) অর্জিত সাফল্যের মাধ্যমে। একবার, দুবার নয়, পরপর চারবার ইউপিএসসির প্রিলিমসে ব্যর্থ হয়েও হাল ছাড়েননি তিনি। শেষ চেষ্টায় ইউপিএসসি (UPSC Exam) জয় করেছেন এবং সফল আইএএস হয়ে উঠেছেন। ব্যর্থতা এলেও কঠোর পরিশ্রম থেকে এক পাও পিছপা হননি তিনি। অবশেষে আসে সাফল্য। ২০২৩ সালে গিরিশা চৌধুরী (IAS Girisha Chaudhary) ইউপিএসসি পরীক্ষায় ২৬৩ র্যাঙ্ক অর্জন করেন। তাঁর সাফল্যের কাহিনি অনুপ্রেরণা দেবে।
পাকিস্তান থেকে এসেছে গিরিশার পরিবার
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান বিভাজনের সময় পাকিস্তান থেকে ভারতে এসে উঠেছিলেন গিরিশার ঠাকুরদাদা। তিনি এখানে এসে শ্রমিকের কাজ করে, রিক্সা চালিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করে নিজের পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছিলেন। পরে একজন পাটোয়ারির কাজ করতে করতেই তিনি অবসর নেন। গিরিশার বাবা ছিলেন পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং তাঁর মাও ব্যাঙ্কে কাজ করতেন একসময়।
সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন গিরিশা
গিরিশার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল হরিয়ানার কর্নালে। দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরে গিরিশা একটি অনাথ আশ্রমে যাওয়ার সুযোগ পান। সেখানে অসহায় শিশুদের দেখে তিনি সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন যাতে তিনি নিজের চেষ্টায় তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে পারেন জগতের সামনে। যদিও এই ইচ্ছেকে তাঁর বাবা-মা সেভাবে প্রাধান্য দেননি। এরপরে গিরিশা জেনারেল কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেক পড়তে শুরু করেন।
এভাবে শুরু করেন ইউপিএসসির প্রস্তুতি
কলেজ শেষ করে গিরিশা ই ওয়াই সংস্থায় কাজের সুযোগ পান। ভাল বেতনের চাকরি সত্ত্বেও কিছু একটার অভাববোধ করছিলেন গিরিশা। ফলে অনেক ভেবেচিন্তে তিনি ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। অনেকে সেই সময় তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল বলেই মনে করেছিল। কিন্তু তিনি তাতে কান দেননি।
ব্যর্থতা এসেছে বারবার
২০১৮ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথমবার বসেন গিরিশা চৌধুরী, কিন্তু ২০ নম্বরের জন্য প্রিলিমস পাশ করতে পারেননি তিনি। ২০১৯ সালে আবার পরীক্ষা দেন, ১.৫ নম্বরের জন্য এবারেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। ২০২০ সালে যখন আরেকবার পরীক্ষা দেবেন, তাঁর আগে থেকে দুশ্চিন্তা গ্রাস করে তাঁকে। পরীক্ষার আগের রাতে ঘুমোতেই পারেননি, ফলে সকালে তাঁর শরীর খারাপ হয়ে যায় এবং এবারেও ব্যর্থ হন তিনি।
পরীক্ষার আগেই এসেছিল প্যানিক অ্যাটাক
গিরিশা নিজে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে প্রিলিমস পাশ করলে মেনসেও সহজেই তিনি উত্তীর্ণ হবেন। এমন পরিস্থিতিতে গিরিশা আবার সবকিছু ছেড়ে ২০২১ সালের জন্য প্রস্তুতি নেন। পরীক্ষার একদিন আগে তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। সারা রাত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকার পর সকালে গিরিশাকে তাঁর বাবা ডেকে তোলেন এবং পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সাহস জোগান। কিন্তু এবারেও তিনি ব্যর্থ হন। তবে ২০২২ সালে পঞ্চম ও শেষ চেষ্টায় ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
আরও পড়ুন: JEE Mains 2025: বদলে গেল জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন, কাট অফ কি কমবে ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI