Preeti Hooda: অভাব কখনও সাফল্যের পথে বাধা হতে পারে না। নিজের মনে যদি জেদ থাকে, কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে থাকে, স্বপ্নপূরণের তাগিদ থাকে তাহলে কোনও বাধাই আর বাধা বলে মনে হয় না। আর এমনই নজির গড়ে তুলেছেন প্রীতি। প্রীতি হুডা (IAS Preeti Hooda)। বাবা বাস চালিয়ে সংসার সামলান, আর তাঁর মেয়ে প্রীতি নিজের চেষ্টায় আজ আইএএস হয়ে বাবার কষ্টের দাম দিয়েছেন। কেমন ছিল তাঁর শুরুর দিনগুলো ? কীভাবে এল বহুকাঙ্ক্ষিত সাফল্য ?


ছোটবেলা থেকেই খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন প্রীতি হুডা (IAS Preeti Hooda)। পড়াশোনা করতেই ভাল লাগত তাঁর। পরিবারে অভাব ছিল, অর্থকষ্ট ছিল খুবই। কিন্তু তাঁর মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন প্রীতি। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন তিনি। বাবা বাস চালিয়ে সংসার সামলাতেন, খরচ জোগাতেন পড়াশোনার। কিন্তু তাতেও সেভাবে কুলিয়ে উঠত না। বাবা-মা ভেবেইছিলেন পরীক্ষার পর বেশিদূর পড়াশোনা করানোর ক্ষমতা তাঁদের নেই। ফলে বাড়ি থেকে প্রীতির বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু বিয়ে করতে চাননি প্রীতি। কারণ বিয়ে করলে তাঁর আর পড়াশোনা করা হত না।


প্রীতি (IAS Preeti Hooda) আরও মন দিয়ে পড়াশোনা করা শুরু করলেন। বেশি সময় পড়তে শুরু করলেন। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিলেন। ফলপ্রকাশের দিন গিয়ে জানতে পারলেন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন তিনি। আর সেই ফলাফল জেনে বাড়িতে বাবাকে গিয়ে বলতেই তাঁর বাবা রাজি হয়ে যান আরও খানিক পড়ানোর জন্য। কষ্টকে স্বীকার করেই মেয়ের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন তাঁর বাবা।


হিন্দি নিয়ে দিল্লির লক্ষ্মীবাঈ কলেজে ভর্তি হলেন প্রীতি হুডা। স্নাতক পরীক্ষাতেও দুর্দান্ত রেজাল্ট হল তাঁর। তারপর স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিও করে ফেলেন প্রীতি। হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে থাকতেন প্রীতিরা, আর তাঁর বাবা যেহেতু দিল্লি পরিবহন দপ্তরের বাস চালাতেন, তাই তিনি প্রীতির মতই থাকতেন দিল্লিতে। পিএইচডি পড়ার পাশাপাশি ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন প্রীতি। কিন্তু একবার পরীক্ষা দিয়েই সাফল্য আসেনি তাঁর জীবনে। তবে হাল ছেড়ে দেননি।


২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েই ২৮৮ র‍্যাঙ্ক অর্জন করে IAS হন প্রীতি হুডা। পরে এক সাক্ষাৎকারে প্রীতি (IAS Preeti Hooda) জানিয়েছেন, 'ইউপিএসসির রেজাল্ট দেখে বাবাকে যখন ফোন করি, বাবা তখন বাস চালাচ্ছিলেন। ফোনেই জানিয়েছিলাম যে আমি আইএএস হয়েছি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ফোনের ওপারে কেঁদে ফেলেছিলেন বাবা।' স্বপ্ন দেখাই নয়, সেই স্বপ্নকে কীভাবে সত্যি করতে হবে সেই পথ খুঁজে সে পথে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই সাফল্য আসে।


আরও পড়ুন: ONGC Recruitment 2024: কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ হবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ONGC-তে, কত শূন্যপদ ? কারা যোগ্য ?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI