নয়াদিল্লি: আইআইটি (Indian Institutes of Technology) পাস করেও মিলছে না চাকরি। দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন অবস্থায় বাড়ছে শঙ্কা। তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে। ২৩টি ক্যাম্পাসে প্রায় ৮ হাজার পড়ুয়া চাকরি পাননি এবছর। 


আইআইটি পাসেও মেলেনি চাকরি: কত শতাংশ পড়ুয়া এবার চাকরি পেয়েছেন এবং কত শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পাননি তা জানতে তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন আইআইটি কানপুরের প্রাক্তনী ধীরাজ সিংহ। তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য প্রায় ৮ হাজার পড়ুয়া যা শতকরা হিসেবে ৩৮ শতাংশ চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষে চাকরি পাননি। দেশের ২৩টি ক্যাম্পাসেই রয়েছে এমন বেকারত্বের ছবি। ২১ হাজার ৫০০ জন পড়ুয়া চাকরির জন্য রেজিস্ট্রার করেছিলেন। যার মধ্যে ১৩ হাজার ৪১০ জন চাকরি পেয়েছেন। বাকিরা অর্থাৎ ৩৮ শতাংশ ছাত্র চাকরি পাননি। বছরদুয়েক আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৪০০। যা শতকরার হিসেবে ১৯ শতাংশ। 


এর আগে এই বেকারত্বের ছবি দেখা গিয়েছিল ৯টি আইআইটিতে। ১৬ হাজার ৪০০ পড়ুয়ার রেজিস্ট্রার করলেও ৬ হাজার ৫০ জন চাকরি পাননি। আইআইটির প্রাক্তনী সোশাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, আইআইটি খড়গপুরের ৩৩ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পাননি গতবছর। গত ৫ বছরে ২২ শতাংশ পড়ুয়া আইআইটি দিল্লি থেকে পাস করেও বেকার। তার সঙ্গে শুধুমাত্র চলতি বছর বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ। আরটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আইআইটি দিল্লির ৬০০ পডুয়া গত দুবছরে চাকরি পাননি।'' ওই তথ্যের ভিত্তিতে আইআইটি-র প্রাক্তনী জানিয়েছেন, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রার করার হার বেড়েছে ১.২ গুণ। একইসঙ্গে বেকারত্বের হার বেড়েছে ২.১ গুণ। নতুন করে ১৪টি আইআইটিতে ১.৩ গুণ বেড়েছে রেজিস্ট্রারের কাজ। ঠিক একইভাবে বেকারত্ব বেড়েছে ৩.৮ গুণ।  এর আগে ২০২৩ সালে আইআইটি বোম্বেতে ২ হাজারের বেশি পড়ুয়া ক্যাম্পাসিংয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। যার মধ্যে চাকরি পান ১ হাজার ৪৮৫ জন পড়ুয়া। শতকরা হিসেবে ৩২.৮ শতাংশ পড়ুয়া চাকরি পাননি গত শিক্ষাবর্ষে। যা ছিল তার আগের বছরগুলির তুলনায় সবচেয়ে বেশি।



Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI