Flax Seeds Or Chia Seeds: ভাল স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য এখন অনেকেই চিয়া সিডস ও ফ্লাক্স সিডসে ভরসা রাখেন। কমবেশি দুটো বীজেরই সমান সমান গুণ রয়েছে। কিন্তু আদতে এদের মধ্যে কোনটি বেশি ভাল ? পুষ্টিগুণের তুলনা করলেই ফ্লাক্স সিডস ও চিয়া সিডসের তফাতটা বোঝা যায়। সেই তফাত জেনে নিলেই বোঝা যায় কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
বিভিন্ন পুষ্টিগুণের তুলনা
ক্যালোরি - ১০০ গ্রাম ফ্লাক্স সিডসে ক্যালোরির পরিমাণ ৫০০ ক্যালোরির বেশি। অন্যদিকে সমপরিমাণ চিয়া সিডসে ক্যালোরির পরিমাণ ৫০০ ক্যালোরির কম।
প্রোটিন - ফ্লাক্স সিডসের ১০০ গ্রামের মধ্যে ১৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে। আবার চিয়া সিডসে প্রোটিনের পরিমাণ ১৬.৫ গ্রাম।
লিপিড বা ফ্যাট - ফ্লাক্স সিডসের ১০০ গ্রামের মধ্যে ২৮ গ্রামই ফ্যাট। এদিকে চিয়া সিডসের মধ্যে ফ্যাট বা লিপিডের পরিমাণ ৩০.৭ গ্রাম।
কার্বোহাইড্রেট - ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে ফ্লাক্স সিডসের মধ্য়ে। অন্যদিকে ৪১.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে চিয়া সিডসে।
ডায়েটারি ফাইবার - আবার, ১০০ গ্রাম ফ্লাক্স সিডসে ফাইবার থাকে ২৮ গ্রাম। ওদিকে ৩৪.৪ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায় চিয়া সিডস থেকে।
ফ্লাক্স না চিয়া সিডস, কোনটা বেশি ভাল তবে ?
- ওজন কমানোর জন্য - ফ্লাক্স সিডসে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। কিন্তু চিয়া সিডসে সেটি কম। অর্থাৎ কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে চিয়া সিডসই খাওয়া ভাল।
- সুগারের জন্য - সুগারে মূল যে জিনিসটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। সেটি হল ক্যালোরি। যেহেতু ফ্লাক্স সিডসে ক্যালোরি বেশি। তাই চিয়া সিডস বেছে নেওয়াই ভাল। তবে চিয়া সিডস রোজ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। কারণ ক্যালোরির পরিমাণ কম হলেও চিয়া সিডসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি।
- ফাইবারে সমৃদ্ধ - চিয়া সিডসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ ফ্লাক্স সিডসের থেকে বেশি। তাই চিয়া সিডস বেছে নিতে পারেন ফাইবারের উৎস হিসেবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় - ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। পেটের ক্রনিক রোগে এটি উপকারী। একই সঙ্গে কোলন সাফ রাখে।
- প্রোটিন - প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে হলে ফ্লাক্স সিডস বেছে নিতে পারেন। কারণ এতে চিয়া সিডসের থেকে বেশি প্রোটিন রয়েছে।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Heart Disease Tests: হার্টের রোগের ভয় আর নয়, এই টেস্টগুলিই জানাবে হার্টের খবর