নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জেরে স্থগিত হয়ে গেল নিটের স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা। 


আগামী ১৮ এপ্রিল এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, দেশে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি বলেন, আমাদের দেশের তরুণ ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কারণ তাঁদের ভাল থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরীক্ষার দিন পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


ডাক্তারি পঠনপাঠনের স্নাতকোত্তর স্তরে এমএস এবং এমডি কোর্সে পড়ার জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট নেওয়া হয়। এর আগেও একবার  এই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা।


 


উল্লেখ্য গতকাল শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর শিক্ষামন্ত্রক পরীক্ষা বাতিল ও স্থগিতের ঘোষণা করে। এই প্রথম সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দিল। দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এর প্রভাব পড়বে দেশজুড়ে ২১ লক্ষ উপর। যদিও এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন। সিআইএসসিই-র সচিব গেরি আরাথুন জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। দ্রুত এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতি একাধিক রাজ্য স্থগিত করেছে পরীক্ষা। করোনার সংক্রমণ রুখতে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত করেছে মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র। গতকালই কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, চলতি বছর দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষা বাতিল করা হল। স্থগিত রাখা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সেই পথে হেঁটেই পরীক্ষা স্থগিত করল একাধিক রাজ্য।


দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয় হিমাচল প্রদেশে। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে পরীক্ষা স্থগিত করে রাজ্য সরকার। আগামী ১ মে  পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। চলতি মাসের শেষ মহারাষ্ট্রে বোর্ড পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দশম এবং দ্বাদশের পরীক্ষা স্থগিত করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।


যদিও বোর্ড পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্নাটক সরকার। পাশাপাশি মেঘালয় সরকার জানিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে দশম শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্য সরকার জানিয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর, পরিস্থির উপর নজর রাখা হবে। তারপর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI