কলকাতা: পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যে আসছেন আরও ১১ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে রয়েছেন ৫৫ জন পুলিশ অবজার্ভার। মূলত শীতলকুচির ঘটনার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ৩৩ জন জেনারেল অবজার্ভার, ১৬ জন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার থাকছেন। শীতলকুচির মতো ঘটনা যেন পরবর্তী দফাগুলিতে না হয় তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে কমিশনের তরফে।


সাধারণত এক জন পুলিশ পর্যবেক্ষকের আওতায় থাকে ৩ থেকে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্র। কখনও কখনও সেই সংখ্যাটা ৬ হয়। মনে করা হচ্ছে বিধানসভা অনুয়ায়ী তাঁদের দায়িত্ব যেমন কমবে তেমনই বাড়বে নজরদারি। সব মিলিয়ে ৬৬ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন। সূত্রের খবর, পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর বাকি দফাগুলিতেও সংশ্লিষ্ট পুলিশ অবজার্ভাররা থাকবেন।


রাজ্য রাজনীতি এখনও উত্তাল গত শনিবারের শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে। চতুর্থ দফার ভোটে শুরুতেই কোচবিহারে গুলি। ভোট শুরু পর্বেই একজনের মৃত্যু হয়। গুলিতে নিহত চার জন। আহত আরও চার। জোড়া পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে সকালে গুলি চলে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল শীতলকুচি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ব়্যাফ নামানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে এলাকায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ৷


১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু খবর পাওয়া যায় আগেই। শীতলকুচিতেই ফের গুলি চলার ঘটনায় আরও চারজনের গুলি লেগে মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকে রাজনৈতিক চাপানউতোর থেকে বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি চলছেই। কিন্তু শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে  ঠিক কী হয়েছিল সেদিন! প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভাইরাল ভিডিও। যে ভিডিও-র সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একদল মানুষ বাঁশ-লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশভেদী বুলেট চলার শব্দ। মুহূর্তের নিঃশব্দতার পর তীব্র আর্ত চিৎকার। মানুষের হাহাকার। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। দরজায় সজোরে আঘাত করা হচ্ছে বাঁশ দিয়েও। এই ভিডিও-র অবশ্য সত্যতা যাচাই করা হয়নি এবিপি আনন্দর তরফে।