কলকাতা : করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ জায়গাতেই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে "৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি।" আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।  


তিনি জানান, প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকাকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১২ হাজার প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।" পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, "স্কুল খোলারই পক্ষে আমরা। শিশুদের ক্ষতি না করে, সংক্রমণ না বাড়িয়ে স্কুল খোলার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা করছেন। যাতে স্কুল খোলার পর আবার বন্ধ করে দিতে না হয়। সেই সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে স্কুল খোলারই পক্ষপাতী।"


করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পঠন-পাঠন আপাতত অনলাইনে (Online Classes) চলছে। কিন্তু, তা চললেও প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, সে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। এই অবস্থাতেই প্রি-প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পঠনপাঠনের রাস্তা খুলতেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। মূলত, ৪ থেকে ৯ বছর বয়সী পড়ুয়াদের শিক্ষাদানই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।


আরও পড়ুন ; সরকার স্কুল খোলার পক্ষে, সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী


কচিকাঁচাদের অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা তেমনই প্রান্তিক পরিবারের অনেক পড়ুয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়াটা কিছুটা আর্থিকভাবেও সমস্যার। একদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, অন্যদিকে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কচিকাঁচাদের যাতে পড়াশোনায় ফের গতি আনা যায়, সেই লক্ষ্যেই পাড়ায় শিক্ষালয়ের পদক্ষেপ।


পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক (Teachers), পার্শ্বশিক্ষক , শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। 


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI