অন্ধ্রপ্রদেশ: সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভারতের এই কিশোর। অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর গ্রামের মাত্র ১৪ বছর বয়সী এই কিশোর সিদ্ধার্থ নন্দয়াল এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন যা কিনা মাত্র ৭ সেকেন্ডের মধ্যেই চিনিয়ে দেবে হৃদরোগের লক্ষণ। এই অভূতপূর্ব আবিষ্কারের পরে সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন এই কিশোর।

সিদ্ধার্থ নন্দয়ালের এই উদ্ভাবনের নাম দেওয়া হয়েছে সার্কাডিয়ান এআই। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যক্তির হৃদস্পন্দন শুনে এই অ্যাপ ব্যক্তির কোনও হৃদরোগ আছে কিনা তা বলে দিতে পারবে সহজেই। আবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই অ্যাপের দক্ষতা বা নিঁখুত চিহ্নিতকরণ ৯৬ শতাংশ সঠিক। এখনও পর্যন্ত এই প্রযুক্তি আমেরিকায় ১৫ হাজার রোগীর উপরে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং ভারতে ৭০০ রোগীর উপরে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করা হয়েছে।

কে এই সিদ্ধার্থ নন্দয়াল

সিদ্ধার্থ নন্দয়াল নামের এই কিশোর থাকেন আমেরিকায়, কিন্তু তার বাবা মহেশ থাকেম অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে। ২০১০ সালে মহেশ অনন্তপুর থেকে আমেরিকায় চলে যান। ছোটবেলা থেকেই সিদ্ধার্থের প্রযুক্তির প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল আর আজ এই কিশোর STEM IT নামের একটি সংস্থার সিইও। এই সংস্থা সমগ্র বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কোডিং, রোবোটিকস ও এআই-এর বিষয় নিয়ে শিক্ষণ দেয়।

তবে সিদ্ধার্থের লক্ষ্য কেবল অ্যাপ বানানো ছিল না। তিনি চান বিশ্বের সমস্ত শিশু-কিশোর যাতে প্রযুক্তির ক্ষমতাকে অনুধাবন করতে পারে এবং সেটি শিখে তাঁর যথাযথ ব্যবহার করতে পারে। আর তাই সিদ্ধার্থ সবসময় তাঁর বন্ধুবান্ধবদের নতুন নতুন জিনিস শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করেন।

সিদ্ধার্থের এই উদ্ভাবন যে শুধু মেডিকেল ফিল্ডেই কাজে দেবে তাই নয়, এটি আবারও প্রমাণ করেছে যে ভারতীয়দের মধ্যে প্রতিভা বয়সের উপর নির্ভরশীল নয়। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সিদ্ধার্থের এই অর্জন আরও হাজার হাজার কিশোরকে অনুপ্রাণিত করবে।

১৪ বছর বয়সী সিদ্ধার্থ নন্দয়ালের এই অ্যাপ শুধু একটি প্রযুক্তিগত প্রকল্পই নয়, বরং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তির প্রাণ বাঁচতে পারে। যে সময় শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, সেই সময় সিদ্ধার্থ নন্দয়ালের এই অ্যাপ মানুষের প্রাণ বাঁচাবে। পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি বছর ৩২ শতাংশ মৃত্যুই হয় হৃদরোগের কারণে। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ভারতীয় মারা যান হৃদরোগের কারণে।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI