Child Education: ভারতের নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ডা. ভি কে পাল সম্প্রতি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে আজ আমাদের দেশের এক চতুর্থাংশ স্কুল-পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি কেবল তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করছে না, বরং তাদের সামগ্রিক বিকাশকেও প্রভাবিত করছে।
এই প্রতিবেদনটি জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রিসোর্স সেন্টার (NHSRC) এবং স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে যেখানে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের ঘুমের অভ্যাস ও তাদের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ঘুমের অভাব যে শিশুদের চিন্তা-ভাবনা ও বোঝার ক্ষমতাকে (স্বাভাবিক কার্যপ্রণালীকে) কীভাবে প্রভাবিত করে তা বোঝার চেষ্টা করা।
৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি
ডা. পল ঘুমকে একটি মৌলিক জৈবিক প্রয়োজনীয়তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এও বলেছেন যে এটি মস্তিষ্কের উন্নত কার্যকারিতা, উন্নত স্মৃতিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর একইসঙ্গে ভাল কর্মক্ষমতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে প্রতিটি শিশুর প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। যাতে তাদের মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য বজায় থাকে। তাঁর কথায় আজকের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুমের অভাব শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এই সমস্যার মূল কারণ হল স্ক্রিন টাইম। মোবাইল, ট্যাব, টিভি, ল্যাপটপের মত ডিভাইসের ব্যবহার শিশুর ঘুমকে ব্যাহত করছে। গভীর রাত পর্যন্ত অনলাইনে গেম খেলা বা ভিডিয়ো দেখা শিশুদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
৬০ শতাংশ শিশুর মধ্যে অবসাদের লক্ষণ মিলেছে
এই প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। দেখা গিয়েছে প্রায় ২২.৫ শতাংশ শিশুই পর্যাপ্ত ঘুম পায় না। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে অবসাদের লক্ষণ দেখা গিয়েছে, আর ৬৫.৭ শতাংশ শিশুর মধ্যে চিন্তনের দুর্বলতা, বোঝার ক্ষমতা কমে যেতে দেখা গিয়েছে। ফলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ঘুমের অভাব শিশুর শারীরিক, মানসিক ও বৌদ্ধিক সমস্যার মূল কারণ হতে পারে।
শিশুদের ঘুমের কথা মাথায় রেখে স্কুলের টাইম-টেবিল ঠিক করা উচিত
এই ঘুমের ঘাটতির সমস্যা মেটাতে সমস্ত স্কুল, পরিবার এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রে কাজ করা উচিত। স্কুলগুলির উচিত শিশুদের এই ঘুমের সময় ও সমস্যার কথা মাথায় রেখে সময়সূচি তৈরি করা। অভিভাবকদের উচিত তাদের শিশুদের ঘুমের যত্ন নেওয়া। বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত যা ভাল ঘুমকে ত্বরান্বিত করে। ডা. পলের মতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মত ঘুমকেও স্বাস্থ্য নীতির অংশ করতে হবে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI