Dipesh Kevlani Success Story: আপনার উদ্দেশ্য যদি সৎ ও দৃঢ় হয়, তাহলে আপনার গন্তব্য খুব বেশি দূরে নয়। অদম্য জেদ আর মনে দৃঢ় প্রত্যয় থাকলে কোনও প্রতিবন্ধকতাই আর কঠিন বলে মনে হবে না। এমনই এক যুবকের (Success Story) কাহিনি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। পাহারাদারের কাজ করতেন একসময়, আর আজ তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। সর্বভারতীয় ক্যাট পরীক্ষা পাশ করে আইআইএম-এ পড়ার সুযোগ (Dipesh Kevlani Success Story) পেয়েছেন তিনি। দীপেশ, দীপেশ কেবলানীর এই কাহিনি আপনাকে ভরসা দেবে, অনুপ্রাণিত করবে, জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতে হার না মেনে লড়াইয়ের জোর দেবে।

আইআইএম শিলং-য়ে এমবিএ পড়তে ভর্তি হন দীপেশ কেবলানী এবং এর মধ্য দিয়েই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। তিনি জানান যে এই প্রথমবারের মত একনিষ্ঠভাবে পড়াশোনায় মন দিতে পারবেন তিনি। আগে সবসময় চাকরি ও পড়াশোনা দুটিকেই একসঙ্গে চালিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু এখন আর তাঁকে আটকানোর কেউ নেই, এবার নিজের স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাবেন তিনি।

আমেদাবাদে একজন সামান্য পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন দীপেশ। ২০২৪ সালের সর্বভারতীয় CAT পরীক্ষায় ৯২.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে দেশের শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আইআইএমে পড়ার সুযোগ পান তিনি। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্য ছিল বড় দায়। ছোট ঘরে থাকতেন। শৈশবেই বাবাকে হারান, আর তারপর থেকেই পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব তাঁর উপরে এসে পড়ে। পড়াশোনা সেভাবে করা হয় না।

সংগ্রামমুখর যাত্রাপথ

দীপেশের যখন মাত্র ১১ বছর বয়স, সেই সময়েই তাঁর বাবা মারা যান। এরপরে তাঁর পরিবার জয়পুর থেকে আমেদাবাদে চলে আসে। মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে একটা কামরার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন দীপেশ। ছোটবেলা থেকেই তাঁকে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় একটি জুতোর দোকানে কাজ করতেন তিনি, সেখান থেকে মাসে ১৫০০ টাকা বেতন পেতেন দীপেশ। স্কুল থেকে এসেই কাজে চলে যেতেন দীপেশ। তবু হাল ছেড়ে দেননি তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।

পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি

দ্বাদশ শ্রেণির পরে দীপেশ আমেদাবাদ ক্যান্টনমেন্টে পাহারাদারের চাকরিতে যোগ দেন মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে। এই বেতনেই তিনি নিজের ও সংসারের খরচ চালান। বি.কম এবং এম.কম ডিগ্রি অর্জন করেন। কিন্তু মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল এমবিএ করার ইচ্ছে। তাঁর ছোট ভাই ইতিমধ্যে আইআইএম লক্ষ্ণৌতে ভর্তি হন এবং ভাইকে দেখেই ফের উদ্যমী হয়ে ওঠেন দীপেশ। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে CAT পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন দীপেশ। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পাহারাদারের কাজ করতেন এবং তারপর তিনি কোচিংয়ে যেতেন। চার-পাঁচ ঘণ্টা পড়ার পরে ৫০-৬০ কিমি ভ্রমণ করে বাড়ি আসতেন দীপেশ। ২০২৪ সালের পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়ে আইআইএম শিলংয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান দীপেশ।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI