নয়াদিল্লি: ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল IAS অফিসার হওয়ার। কিন্তু স্কুল জীবনেই একের পর এক যতিচিহ্ন বসতে থাকে সেই স্বপ্নে। প্রথমে নবম দশমে থার্ড ডিভিশন তারপর দ্বাদশে ফেল। তবে হারায়নি আত্মবিশ্বাস। নিজের উপর বিশ্বাস অন্ধকারের শেষে আলোর দেখা মিলবে নিশ্চয়ই। একের পর এক বাধা পেরিয়ে আজ সফল IPS অফিসার মনোজ শর্মা।
কেমন ছিল IPS অফিসার হওয়ার পথটা?
তবে যাত্রাপথটা এতটা সহজ মোটেই ছিল না। মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার বাসিন্দা মনোজ শর্মা। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। মাথার উপর ছিল না ছাদটাও। অদম্য জেদ আর হার না মানা লড়াইটাই ছিল সম্বল। সবটা ঠিকই চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। নবম এবং দশম পরপর দুবার থার্ড ডিভিশনে পাস করেন তিনি। ঘুরে দাঁড়ানো তো হলোই না উল্টে দ্বাদশেও ফেল। একমাত্র হিন্দি ভাষাতেই পাশ করেছিলেন তিনি।
একদিকে আর্থিক কষ্ট অন্যদিকে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য। একের পর এক রাত কেটেছে ফুটপাতে। খরচ জোগানোর জন্য ভরসা ছিল অটো। নিজের খরচা চালাতে প্রতিদিন অটো চালাতেন তিনি। দিল্লির এক লাইব্রেরিতে কাজের সুযোগ পান এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। সেখান থেকেই নানারকম বই পড়তে। যা জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি তো বটেই, UPSC-র লেখাপড়ার জন্যও বেশ সুবিধাজনক হয়েছিল। মনোজের বন্ধু অনুরাগ পাঠকের ‘টুয়েলফথ ফেল’ বইতে এই যাত্রার উল্লেখও করা আছে।
তবে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ওই অটো। মনোজ শর্মার অটো আটক করেছিল পুলিশ। অটো ছাড়াতে মহকুমা শাসকের অফিসে যান মনোজ। ওই সাক্ষাতের পর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। অটো ছাড়ানো আলোচনার থেকে বেশি UPSC পরীক্ষা এবং তার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি শুরু। একবার, দুবার, তিনবার... কিন্তু কোনওভাবেই আসছিল না সাফল্য। অবশেষে ২০০৫ সালে চতুর্থবারের চেষ্টায় UPSC পাশ (AIR 121) করেন মনোজ শর্মা। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় একটি মেয়েকে ভাল লাগে মনোজের। কিন্তু কিছুতেই ভাললাগার কথা বলে উঠতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ভয় নিয়েই বলে ফেলেন। আর প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে বলেছিলেন, “তোমার জন্য বদলে দিতে পারি এই দুনিয়া।’’ হাতে হাত রেখে মনোজের এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন শ্রদ্ধা। যিনি বর্তমানে মনোজের স্ত্রী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI