কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বিতর্কের জের। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস অপসারিত। মহুয়া দাসের জায়গার নতুন সভাপতি হচ্ছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য। তাঁর কাছে নিয়োগপত্রও পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর।
যদিও মহুয়া দাসের এই অপসারণের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, এটি রুটিন বদলি।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ফল প্রকাশিত হয়েছিল বিশেষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার দিন জানানো হয়েছিল যে, পাসের হার ছিল ৯৭.৬৯ শতাংশ।এরপরই পাস করানোর দাবিতে, জেলায় জেলায় বিভিন্ন স্কুলে কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ফেল করা পড়ুয়ারা।
কোথাও রাস্তা অবরোধ, কোথাও স্কুলে ভাঙচুর। অসন্তোষের আঁচ পৌঁছয় শিক্ষামন্ত্রীর পাড়া থেকে সংসদের দফতর পর্যন্ত।ঘটনার জেরে, সংসদ সভাপতির ডাক পড়ে নবান্নে। স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন ও সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নিতে বলেন মুখ্যসচিব। সেইমতো, স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের থেকে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের আবেদন পুনরায় নেওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পরে শিক্ষা সংসদের পক্ষে জানানো হয় যে, এবার পাস করলেন অকৃতকার্যরাও।
এর পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের ধর্ম পরিচয় উল্লেখ প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী ক্ষুন্ন হয়েছিলেন। এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়া দাস ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, নেহাত আবেগের বশে কথাগুলো বলেছিলেন, অন্য কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না ।
তিনি বলেছিলেন 'সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম ভালো রেজাল্ট কেউ করেছে। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভালো এবং সাধারণ ঘরানা থেকে উঠে এসেছিলেন। সেই ভিত্তিতে সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর সময় তাদের বুঝতে সুবিধার জন্য তথ্য হিসেবে বিষয়টা উল্লেখ করেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই ওভাবে কথাগুলো বলেছিলাম।'
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI