কলকাতা: শুভেন্দুকে চাঁছাঁছোলা আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


৫ জুলাই এগরার সভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সেটা তিনি মেনে নেননি। সব উপেক্ষা করে তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, 'উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল, তাও ছেড়ে এসেছি। তৃণমূল আমার কোনও পদ কাড়েনি। মন্ত্রিত্ব, চেয়ারম্যানশিপ সব ছিল, ছেড়ে এসেছি। আর পারছিলাম না, তাই ছেড়ে এসেছি।' শুভেন্দুর সেই মন্তব্য নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'শুভেন্দু ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হন, তার কথার প্রতিক্রিয়া দেব না। সারদা থেকে নারদ, বাংলার যত কেলেঙ্কারি, সবেতেই যুক্ত শুভেন্দু।' শুভেন্দুর উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রত্যাখ্যান করার দাবিকেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক।


রাজ্যপালকেও নিশানা:
এদিন রাজ্যপালকেও নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলার আর্থিক বকেয়া নিয়ে রাজ্যপাল কেন কোনও কথা বলছেন না সেই প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর প্রশ্ন, 'রাজ্যপাল বলছেন আমি সংবিধানের রক্ষাকর্তা, বঞ্চনা নিয়ে নীরব কেন?' তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালকে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বারবার। রাজ্যপালকে একাধিকবার নিশানা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ভোটে মনোনয়ন পর্বে হিংসার ঘটনা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভাঙড়, ক্যানিং, কোচবিহারে পরিদর্শনে করেছেন তিনি। হিংসার মৃত রাজনৈতিক কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটের বাংলায় হিংসার ঘটনা জানতে রাজভবনে চালু করেছেন পিস রুমও। রাজ্যে হিংসার ঘটনায় বারবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ভর্ৎসনাও করেছেন। এবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্যপালকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় কোনও মৃতের বাড়ি গেছেন রাজ্যপাল? শুধু দিল্লির আদেশ পালনের চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।'


পঞ্চায়েত ভোটে লাগাতার হিংসার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য'র বাংলায় এসে আমি আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু এত হিংসা দেখে আমার মোহভঙ্গ হয়েছে। বাংলায় এখন চিত্ত ভয়ে পূর্ণ আর মাথা হেঁট হয়ে আছে। গুরুদেবের মাটিতে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। আমি শিশুদের কান্না শুনেছি, মানুষের হতাশার কথা শুনেছি। মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ হোক।' হিংসার ঘটনায় সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তিনি। সেই প্রসঙ্গের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিষেকের জবাব, 'কমিশনের হাতে রক্ত লাগলে, মণিপুরের ঘটনায় কার হাতে রক্ত?'


আরও পড়ুন: স্পর্শকাতর বুথে থাকবে না বাড়তি বাহিনী, আপনার বুথের পাহারায় কারা?