উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, বহরমপুর: বহরমপুরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে তীব্র নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বহরমপুরে অধীর তৃতীয় হবেন বলে ভবিষ্যৎবাণীও করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অধীর। (Abhishek on Adhir)


মঙ্গলবারই ভোটগ্রহণ হয়েছে মুর্শিদাবাদে। চতুর্থ দফায় ভোট রয়েছে অধীরের গড় বলে পরিচিত বহরমপুরে। এখনও পর্যন্ত অধীরের দুর্গ ধসাতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। এবার তাই একরকম মরিয়া তারা। অধীরের রাজনৈতিক সাম্রাজ্য়ের পতন ঘটাতে গুজরাতের বরোদা থেকে ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার সেই ইউসুফকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করেন অভিষেক।(Lok Sabha Elections 2024)


প্রচারে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, "যেখানে রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধীকে ED ডেকে পাঠায়, সেখানে বিজেপি-র এজেন্ট অধীর চৌধুরীর নাম সারদায় থাকার পরও বিজেপি সমন পাঠায় না। বলুন, আপনারা স্বীকার করেন কি না, এই ভদ্রলোক এজেন্ট, হ্যাঁ কি না?"


আরও পড়ুন: Mamata Purulia Meeting: 'চাকরি খেয়ে মিথ্যা কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী', পুরুলিয়ায় জনসভায় তোপ মুখ্যমন্ত্রীর


অভিষেক আরও বলেন, "যে ভাষায় বিজেপি-র হাত শক্তিশালী করতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, প্রতিনিয়ত তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন, আমি প্রত্যেকটি তথ্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি। আমি নাম করব না। কংগ্রেস নেতৃত্ব আমাকে বলেছেন, 'ওকে আমিও সতর্ক করেছি যে একসঙ্গে লড়তে হবে। এভাবে বিজেপি-র কথায় যেও না। আমার কথাও শোনা না।' নিশ্চয়ই কিছু দুর্বলতা থাকবে। সেই দুর্বলতাটা কী?"


 এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে অধীর তৃতীয় হবেন বলেও দাবি করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, বহরমপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্মলকে। আর অধীর হচ্ছেন পদ্ম শিবিরের ডামি প্রার্থী।  অধীর নিজেই নির্মলকে ভোট দেবেন বলে দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, "ভবিষ্যৎবাণী করে দিয়ে গেলাম, অধীরবাবু ২ বহরমপুরে তৃতীয় হবেন।"


সম্প্রতি একটি প্রচারে তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি-কে ভোট দেওয়া ভাল বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় অধীরকে। এর আগেও একাধিক বার অধীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও, বাংলায় তৃণমূল যে একলা চলার নীতি নিয়েছে, তাও অধীরের জন্যই বলে জানানো হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগেও সেই নিয়ে তরজা জারি। লাগাতার পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল এবং প্রদেশ কংগ্রেস।