বাঁকুড়া : ভোটপ্রচারে এখন ইস্য়ুর লড়াই। বিজেপি যখন দুর্নীতি-অস্ত্রে তৃণমূলকে বিদ্ধ করছে, তখন পাল্টা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে ঢাল করে, লড়াই জারি রেখেছে তৃণমূল ( TMC )। এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ইতিমধ্য়ে দিল্লিতে দরবার করেছে।


একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের একাংশের বকেয়া মজুরিও দিতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। এবার লোকসভা ভোটের আবহে এনিয়ে বিজেপিকে ( BJP ) আরও চড়া সুরে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শনিবার ভোট রয়েছে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে। যেটি ২০১৯ সালে তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার সেই বাঁকুড়া কেন্দ্রের শালতোড়ার সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বলেন,ন'বিজেপি নেতা-কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে, মিথ্য়ে বলার জন্য গাছে বেঁধে রাখুন। কোনওভাবে মারধর করবেন না, গাছে বেঁধে রেখে আমাকে ফোন করবেন'। শালতোড়ার সভা থেকে এমন সাঙ্ঘাতিক নিদান দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) । 


বিজেপির পাল্টা                


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। চন্দন বলেন,  'বালি , কয়লা চুরি করার পর শালতোড়া এলাকার পাথর চুরি করার জন্য তিনি এসেছেন।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর এ ধরনের কথা দাঙ্গা লাগানোর জন্য বলেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের মন্তব্য, 'উনি সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নিয়ে ঘুরছেন, যে কোনও সময় জেলের ভাত খাওয়ার ডাক আসতে পারে।'


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ


বুধবার বসিরহাটের সভা থেকে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ১০০ দিনের টাকা ইস্যুতে আক্রমণ শানান কেন্দ্রের উদ্দেশে। বলেন, ' মিথ্যে কথা বলে বিজেপি ১০০ দিনের টাকায় গরিব লোককে টাকা দেয় না, গরিব লোককে ১০০ দিনের টাকা দেয় না, কোনও মা-বোন খেতে না পারলে ৫০০ টাকা দেয় না। চক্রান্ত করতে গেলে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে। আর চক্রান্ত করতে গিয়ে, আর ভোট কিনতে গিয়ে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে। আর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুধু প্রচার করে'  


২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দু'টি কেন্দ্রেই জিতেছিল বিজেপি। এবার কী হবে? সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন। 


আরও পড়ুন : 


রেমাল এখন কি পরিস্থিতিতে ? কেন এমন নামকরণ? মানেই বা কী?