কলকাতা : রাজনীতির ময়দানে তাঁরা একে অপরের কড়া প্রতিপক্ষ। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ে না। কোনও ইস্যু হাতে পেলেই একে অপরকে বিঁধতে পিছপা হন না তাঁরা। যদিও ভোট-বাক্সে নিজের দাপট বজায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত দুই লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ তো বটেই, বিজেপির 'অশ্বমেধের ঘোড়া' কার্যত গোটা দেশেই ছুটছে। একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনেও আধিপত্য দেখাচ্ছে বিজেপি। স্থানীয় স্তরের নির্বাচনেও গেরুয়া শিবিরের দাপট চলছে। এই অবস্থায় কার্যত 'চিঁড়েচ্যাপ্টা' অবস্থা কংগ্রেসের। কিন্তু, মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে এখও চর্চায় অন্যতম প্রধান মুখ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের পর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রাতেও মিলেছে অভাবনীয় সাড়া। তার সুফল কি আদৌ ভোট-বাক্সে তুলতে পারবে কংগ্রেস ? রাহুল গাঁধীকে নিয়ে মানুষ কী ভাবছে ? তাঁকে কি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চান ? নাকি এখনও মোদির ওপরই তাঁরা ভরসা রাখছেন ? কী বলছে সি ভোটার সমীক্ষা ?


সি ভোটারের তরফে প্রশ্ন ছিল, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে দেখতে চান ?


নরেন্দ্র মোদি- ৬৩%


রাহুল গাঁধী- ২৮%


এঁদের দু'জনের কাউকে না- ৪%


বলতে পারব না- ৫%


অর্থাৎ, নরেন্দ্র মোদিরই পাল্লা ভারী। যদিও শেষ 'রায়' দেবে জনতা । ভোট-বাক্সে দেশবাসীর মতামতেরই প্রতিফলন ঘটবে। 


লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা না হলেও প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই কতটা জোরদার করতে পারবে বিরোধীরা ? বিজেপি তথা এনডিএ কি পারবে ফের একবার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করতে ? সে তো সময় বলবে। কিন্তু, তার আগে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রের ৪১,৭৬২ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন C ভোটারের সমীক্ষকরা। একাধিক ইস্যুতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত। সেই সমীক্ষায় এবার সামনে এল। এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা যখন করা হয়েছে, তখন নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়নি, প্রচারও শুরু করেনি কোনও দল, হয়নি দেওয়াল লিখনও। তারকা প্রচারকরা ময়দানে নামেননি।
এখনও অবধি বিজেপির পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়নি। সমীক্ষা চলাকালীন, তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হয়নি। সমীক্ষার সময় CAA কার্যকর হয়নি।


(ডিসক্লেমার: বর্তমান সমীক্ষা ও তৎলব্ধ পূর্বাভাসটি CVoter Opinion Poll Computer Assisted Telephone Interview বা 'CATI' ভিত্তিতে যে ৪১ হাজার ৭৬২ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর করা হয়েছিল, তা থেকে পাওয়া গিয়েছে। এঁরা প্রত্যেকে ভোটার-তালিকাভুক্ত। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে। রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাউন্ডিং এফেক্টের জন্য বহু 'টেবল'-এ যে সংখ্যা রয়েছে, তার যোগফল ১০০ হয়নি। চূড়ান্ত যে তথ্যের উপর বিশ্লেষণ হয়েছে, তা রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের কমবেশি ১%-র মধ্যে। আমরা মনে করি, এটিই জনমতের ধারার সবথেকে কাছাকাছি। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। 'এরর মার্জিন' বা ভুলের মাত্রা কম-বেশি ৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহ্য করা হয়েছে এবং ৯৫ শতাংশ কনফিডেন্স ইন্টারভ্যালে আমরা আমাদের ভোট শেয়ারের পূর্বাভাস দিয়েছি।)