কলকাতা: হাতে আর ঠিক সাতদিন। তারপর শুরু হবে লোকসভা ভোট। প্রথম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল। দিল্লির মসনদে দেশবাসী কাকে চান, EVM-এ সেই মত জানাবেন তাঁরা। শেষ লগ্নে সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সবপক্ষ।
কীভাবে হয়েছে সমীক্ষা?
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের ভবিষ্য়ৎ যাঁদের ওপর নির্ভর করছে, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তাঁদের পছন্দের পাল্লায় কারা এগিয়ে? তার আভাস পেতে এরাজ্য়ের ৪২টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার। ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল, অর্থাৎ গত ৩ মাস এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৫৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা।
- নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদ, যেখানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবার প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের, বিজেপির টিকিটে লড়ছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ। সম্ভাব্য জয়ী আবু তাহের।
- নদিয়ার রানাঘাটে। এই লোকসভা কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন মকুটমণি অধিকারী, বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সি ভোটার বলছে বিজেপি প্রার্থী সম্ভাব্য জয়ী।
- কোলিয়ারি অঞ্চলের কেন্দ্র আসানসোল। তৃণমূল প্রার্থী বিহারি বাবু শত্রুঘ্ন সিনহার। তাঁর মুখোমুখি এবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়া। সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান। সমীক্ষা অনুযায়ী সম্ভাব্য জয়ী শত্রুঘ্ন সিনহা।
- জঙ্গলমহলের কেন্দ্র বাঁকুড়া। এখানে তৃণমূলে প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী, বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সুভাষ সরকার, সিপিএমের প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত। সি ভোটার বলছে সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির সুভাষ সরকার।
- কলকাতার উপকন্ঠে ইতিহাসের শহর ব্যারাকপুরে। রাজনীতির মহাভারতে যেখানে পার্থর মুখোমুখি অর্জুন। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিংহ, তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। বামেদের টিকিটে লড়ছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। এই কেন্দ্রে সম্ভাব্য জয়ী অর্জুন সিংহ।
এরাজ্যে ৪২টা লোকসভা কেন্দ্র। সি ভোটারের সমীক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছেন। কোনও দল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে এগিয়ে থাকলে, সি ভোটার বলছে ক্লিয়ার উইনার, যাকে আমরা বলছি 'সম্ভাব্য জয়ী।' কয়েকটি কেন্দ্রে আবার জোর টক্করও হতে পারে। যেখানে সম্ভাব্য ফল যে কোনও মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। তিন শতাংশ ভোটের স্যুইং হলে পাল্টাতে পারে ফল। এই ৪২টা কেন্দ্রের মধ্যে বেশ কিছু কেন্দ্র হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যেখানে মাত্র এক শতাংশ ভোটের স্যুইং-এ সম্ভাব্য ফল বদলে যেতে পারে।
সি ভোটারের সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। তাই এই সমীক্ষায় ফল যাই হোক না কেন তাকে ধ্রুবসত্য মনে করার কোনও কারণ নেই। সি ভোটারের এই সমীক্ষার সঙ্গে সম্পাদকীয় নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া তথ্যগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরি মাত্র।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।