উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়: বহরমপুরে অধীর-জমানা অতীত। ইউসুফের ইনস্যুইংয়ে বোল্ড অধীর চৌধুরী। হল না ডবল হ্যাটট্রিক। কী করবেন এবার? রাজনৈতিক সন্ন্যাস নাকি পুনরুত্থানের চেষ্টা? কথা বললেন এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়।


২৫ বছরের সাংসদ হেরেছেন এবার, আগামীদিনে কী ভাবনা?
অধীর: 'কী আর করব। হেরেছি। কী আর ভাবব। রাজনীতি ছাড়া আর কিছু শিখিনি, হঠাৎ করে করবই বা কী? সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যেটুকু ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার কিছু নেই রোজগার করার। দিল্লিতে আমি বলতাম বিপিএল এমপি। আমার তো অসুবিধা হবেই। অসুবিধা নিয়েই চলব।' 


দিল্লি যাবেন?
অধীর: 'আমাকে ঘর ছাড়তে হবে। মেয়েটা ওখানে আসে, পড়াশোনা করে। ঘরটা ছাড়তে হবে। আমাদের তো নিজের ঘর নেই। ব্যবস্থা করতে হবে, দেখছি কী করা যায়। এক মাসের ঘর ছাড়ার সমস্যা আছে।'


দিল্লি নেতৃত্ব-মমতা-অভিষেক কাছাকাছি, কী বলবেন?
অধীর: 'ইন্ডিয়া জোটে তারা গিয়েছিল। দিল্লিতে কখনও বলিনি জোট করবেন না আপনারা। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা জিজ্ঞেস করা বলেছি পরিস্থিতি বিপক্ষে। সরকার পার্টি করতে দিচ্ছে না। এখানে কংগ্রেস করতে গেলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলতেই হবে। যা ঘটনা তাই বলেছি।'


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকবেন?
অধীর: 'আমায় তো ডাকেনি। দিল্লিতে ব্যস্ত আছে। আমি আগেই বলেছিলাম আমার বদলে কাউকে দেওয়া হোক। আমার থেকে অনেক দক্ষ ব্যক্তি আছেন। আমি আগে অনেকবার বলেছিলাম, আমি সাংসদ হয়ে সময় দিতে পারছি না। কিন্তু সনিয়া গাঁধী বলেছিলেন আমায় থাকতে হবে। আমি তো হারলাম। আমি চাই মূল্যায়ন হোক। আমার থেকে যোগ্য ব্যক্তি খোঁজা হোক।'


রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন?
অধীর: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলেন এটা তাঁর হার বা জিত। আমি বলেছিলাম মমতা বা তাঁর খোকাবাবুর সঙ্গে লড়তে চাই। না লড়লে ওরা বলুক এটা তাঁর হার বা জিত হবে, তাহলে আমি রাজনীতি করা ছেড়ে দেব... আমি বলেছিলাম তার পরিপ্রেক্ষিত আছে।' 


দিল্লিতে যখন দলের খারাপ অবস্থা, সংসদে দলের হয়ে লড়াই করেছেন। কিন্তু AICC-এর কাউকে এখানে আপনার পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল না কেন?
অধীর: 'না দাঁড়ালে তাঁদের ব্যাপার। তাঁদের মনে হয়েছে দাঁড়ানো উচিত না। তাই দাঁড়ায়নি। রাহুল গাঁধীর যাত্রা হয়েছিল। প্রচার তো হয়েছিল। মালদায় খাড়্গে সাহেব এসেছিলেন। মুর্শিদাবাদে কেউ আসেননি, যদিও এখানে ২টো আসনে আমরা লড়ছি। এটা দিল্লির ব্যাপার। আমি তাঁদেরকে কিছু বলতে পারব না।'


কংগ্রেস কর্মীদের উপর সন্ত্রাস না করার বার্তা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর মত, 'বাংলা তো পুরোটা দখল হয়েই গেল।  দিদি ও তৃণমূলের। আর সন্ত্রাস করে কী লাভ। কংগ্রেস করার অপরাধে কারও উপর হামলা-সন্ত্রাস করবেন না। আমার উপর রাগ থাকলে জেলে ভরুন, কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের মারবেন না।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: জেতা আসন বদলের পিছনে কলকাঠি কার? হারের পরে মুখ খুললেন দিলীপ