মাত্র দুদিন আগেই রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে মোদী-মমতা 'আঁতাঁতের' অভিযোগ তুলে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। বলেছিলেন, তৃণমূল-বিজেপি একই মুদ্রার দুই পীঠ। তাঁর প্রশ্ন ছিল, দু’জনের মধ্যে আঁতাঁত না হলে, বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের এমন গতি কেন?
এদিন কর্মসংস্থান নিয়ে মোদী-মমতাকে আক্রমণ শানান রাহুল। তাঁর দাবি, কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূল-- দুজনের শাসনেই কোনও কর্মসংস্থান হয়নি। তাঁর অভিযোগ, এক্ষেত্রে দুজনই মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন।
এই প্রথম নয়। এর আগে গত ২৩ তারিখ রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল। সারদা-নারদ-সিন্ডিকেট থেকে উড়ালপুল বিপর্যয়। যে যে ইস্যুতে তৃণমূল অস্বস্তিতে, রাজ্যে এসে ফের সেই সব অস্ত্রেই শান দিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি।
বলেছিলেন, পোস্তার উড়ালপুলের মতোই ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার। মমতার উদ্দেশ্যে রাহুলের প্রশ্ন, সারদা থেকে নারদ-- কেন কোনও কাণ্ডেই কেন ব্যবস্থা নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি আরও প্রশ্ন করেন, সাংসদ-বিধায়করা যে টাকা নিল, সেটা কি সাদা না কালো?
শুধু আক্রমণেই ক্ষান্ত হননি কংগ্রেসের সহ সভাপতি। তৃণমূলকে হারানোর ডাক দেওয়ার পাশাপাশি, দিয়ে রেখেছেন আগাম হুঁশিয়ারিও! একইসঙ্গে ছিল প্রতিশ্রুতিও। বলেছিলেন, জোটের সরকার এলে, সারদায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল। তিনি বলেছেন, মমতা দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, এমনটা তিনি বিশ্বাস করেন না!
এদিন রাহুলের তিনটি সভায় অংশ নেওয়ার কথা। পূর্ব মেদিনীপুরের পর দ্বিতীয়টি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে হওয়ার কথা। শেষে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে রাহুলের তৃতীয় নির্বাচনী সভা। একমঞ্চে থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যা ভোটের আগে দু'দলের কর্মীদের মনে বাড়তি উত্সাহ যোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।