গুয়াহাটি:  দ্বিতীয় দফায় ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়ল অসমে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অসমে এদিন ভোট পড়েছে ৭৭.২১ শতাংশ। 


অসমে এদিন হিংসার বিক্ষিপ্ত চিত্র ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্করের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে আহত হয়েছেন তিনজন। 


জানা গিয়েছে, কাছার জেলার সোনাইতে মধ্য ধানেহরি এলপি স্কুলে গঠিত পোলিং স্টেশনে বিজেপি ও এআইইউডিএফ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তখনই আমিনুলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনজন। যদিও, এর বাইরে মোটের ওপর ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে। 


১২৬-আসন বিশিষ্ট অসম বিধানসভার ভোট হচ্ছে মোট তিন দফায়। গত ২৬ তারিখ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৪৭ আসনে। আজ, ভোটগ্রহণ হয় ৩৯ আসনে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টা। শেষ হয় সন্ধে ৬টা। এই দফায় ৩৪৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়।


আজ মোট ৩৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরমধ্য়ে বরাক উপত্যকার ১৩ জেলা, তিনটি পার্বত্য জেলা ও মধ্য ও নমনি অসমের বেশ কিছু এলাকাও রয়েছে। 


দ্বিতীয় দফায় যে সকল হেভিওয়েট প্রার্থীর অন্যতম বিজেপি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য (ঢোলাই), ভবেশ কালিতা (রঙ্গিয়া), পীযূষ হজারিকা (জাগিরোড) ও ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর (সোনাই)। 


প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী গৌতম রায় যিনি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেন, তিনি কাঠিগোড়া থেকে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ যথাক্রমে রাহুল রায় ও ডেইসি রায় উধরবন্দ ও আলগাপুর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। 


এছাড়া, বিজেপি তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটের ময়দানে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার দিলীপ কুমার পাল। তিনি শিলচর থেকে লড়াই করছেন। রাজ্যসভার সাংসদ বিশ্বজিৎ দাইমারি এবং অসম সাহিত্য সভার প্রাক্তন সভাপতি পরমানন্দ রাজবংশী বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন। 


দ্বিতীয় দফায় ১০,৫৯২ বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোটারদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে, গ্লাভস পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রয়োগ থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছিল কমিশন। 


প্রত্যেক ভোটকর্মীকে কোভিড-কিট দেওয়া হয়েছিল। ইভিএম রুমে ঢোকার আগে, প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক থার্মাল স্ক্যানিং করা হয় ।