সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: কথায় বলে, 'যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন'। টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র ক্ষেত্রেও অনেকেই মজা করে এই মন্তব্যটাই করেন। উনি গান গেয়ে জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তরুণ মজুমদারের মতো প্রখ্যাত চিত্র পরিচালকের নির্দেশনায় অভিনয়ও করেছেন। আবার আসানসোলের মত রুক্ষ জমিতে একবার নয়, দু-দুবার পদ্ম ফুটিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখন ব্যস্ত বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে। তাও আবার মোটর সাইকেল নিয়ে।
সচরাচর নির্বাচনের ময়দানে যে ছবি কার্যত দেখাই যায় না। প্রার্থী নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে অলিতে গলিতে ঘুরছেন। আবার ভোট প্রার্থনা করছেন। পাছে কেউ প্রশ্ন করে, মনে করে হেলমেট মাথায় দিয়ে তবেই মোটর সাইকেলে চড়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। হেলমেট বাজার থেকে কিনে তাতে নিজে হাতে গেরুয়া রঙ করে নিয়েছেন। বাবুলের বাইক প্রীতি বেশ গাঢ়। সময় পেলেই মোটর সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। একবার দিল্লির রাস্তায় মোটর সাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সূত্রের খবর, নির্বাচনী বৈঠকের মধ্যে বাবুলকে অমিত শাহ যখন টালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলেছিলেন, তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সহকর্মীকে মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। কারণ হিসেবে অমিত শাহ বাবুলকে বলেছিলেন, টালিগঞ্জে অনেক অপরিসর রাস্তা আছে। যেখানে গাড়ি নিয়ে ঢোকাটা একটু সমস্যার। অমিত শাহের কাছ থেকে একটা কেন্দ্রের এত বিস্তারিত ভৌগলিক তথ্য শুনে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সূত্রের খবর, করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গাড়ি চড়ে দফতরে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবুল। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোটর সাইকেল নিয়েই মন্ত্রকের দফতরে যেতেন। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাইক প্রীতির কথা জেনেছিলেন তার সতীর্থরা। হয়ত সেই কথা মনে ছিল অমিত শাহের। তাই মোটর সাইকেল যোগে প্রচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিজেপির চাণক্য। আর সেই নির্দেশ হাসি মুখে গ্রহণ করেছেন টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়।