কলকাতা: ভোটের মধ্যে ফের তিন জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অপসারিত করল নির্বাচন কমিশন। নিখিল নির্মলকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার নতুন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক করা হচ্ছে সি মুরুগানকে। অপসারিত করা হল পূর্ব বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিক এনাউর রহমানকে। পরিবর্তে নতুন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক হচ্ছেন শিল্পা গৌরিসারিয়া। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক হলেন অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সরিয়ে দেওয়া হল পূর্ণেন্দু কুমার মাঝিকে।


নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে বদলি দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অপসারিত ওই তিন জনকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজ করানো যাবে না। আগামীকাল সকাল ১০ টার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগ দিতে হবে। সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে। 


এদিকে গতকাল একসঙ্গে কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরায় নির্বাচন কমিশন। এই তালিকায় ভবানীপুর, কলকাতা বন্দর, শ্যামপুকুর, বেলেঘাটার মতো কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সূত্রের দাবি, ৮ জন রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। যদিও, কমিশন জানায়, এটা নেহাতই রুটিন বদলি।


কলকাতার ভোটের আগে কার্যত নজিরবিহীন পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। এক লপ্তে কলকাতার ৮ বিধানসভা কেন্দ্রের ৮ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  কিছুদিন আগেই বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার-কে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত ৩০মার্চ অপসারিত করা হয় বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানি। একই ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার। সরানো হল ভবানীপুর, এন্টালি, জোড়াসাঁকো, কলকাতা বন্দর, চৌরঙ্গী, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া এবং বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের।


কিন্তু, কেন একসঙ্গে ৮ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরানো হয়? সূত্রের দাবি, এই ৮ রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে,পক্ষপাতিত্ব, বিরোধীদের অভিযোগে গুরুত্ব না দেওয়ার মতো বিষয়ে কমিশনে নালিশ জানানো হয়েছিল। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। সূত্রের দাবি, ৮ রিটার্নিং অফিসারকে শোকজও করা হয়। তবে তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন।