ব্যারাকপুর, সমীরণ পাল: ভোটের তিন সপ্তাহ আগে ব্যারাকপুরে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন।বিজেপিতে যোগ দিলেন ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর সুধা ঘোষ ও তাঁর স্বামী যিনি নিজেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা।গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন শাসক দলের শতাধিক কর্মীও।নতুন দলে যোগ দিয়েই, পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসকের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিদায়ী কাউন্সিলর।ব্যারাকপুরের বিদায়ী কাউন্সিলর সুধা ঘোষ বলেছেন, পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসকের স্বেচ্ছাচারিতার জন্যই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও এই দলবদলকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। যাঁর বিরুদ্ধে সুধা ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূলের সেই নেতা তথা ব্যারাকপুরের প্রাক্তন প্রশাসক উত্তম দাস বলেছেন, বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন দলত্যাগীরা। তাই দল ছাড়লেও ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।
উল্টোদিকে বিজেপির হুঁশিয়ারি আগামীদিনে এই দলবদলের সংখ্যা আরও বাড়বে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেছেন, আগামীদিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সংখ্যা বাড়বে।২২ এপ্রিল ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে তৃণমূলে একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিল। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। এরপর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু।
শুভেন্দুর পর বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ওপর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও এবার বিজেপির প্রার্থী। এছাড়া আরও অনেক ছোট-বড় তৃণমূল নেতা বিজেপিতে সামিল হয়েছেন।
তৃণমূল ছেড়ে আসা অনেক নেতাকেই বিজেপি এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী করেছে। রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন গত ২৭ মার্চ সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই পর্বে সবার নজর থাকবে নন্দীগ্রামের দিকে। এখানে লড়াই মমতা বনাম শুভেন্দু অধিকারীর।