কলকাতা: শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভোটের রাশ ধরল পুলিশ। কড়া হাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করল তারা। সঙ্গত করল যৌথবাহিনী।


উষ্মা প্রকাশ করেছিল শাসক। কিন্তু সেই রক্তচক্ষু কার্যত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ‘টাস্ক’ ফুল-ফিল করল পুলিশ! যোগ্য সঙ্গত দিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও!

বহিরাগতদের জন্য কোথাও ছিল থাপ্পড়ের সঙ্গে ঘাড়ধাক্কা। কোথাও বুথের সামনে অবৈধ জমায়েত দেখামাত্রই অ্যাকশন!

ষষ্ঠ দফার ভোটেও আরও একবার ‘ভাল পুলিশ’কে দেখল কলকাতা! ‘

বহিরাগতদের বুথের ধারে-কাছেই ঘেঁষতে দিল না পুলিশ। একেবারে নিজস্ব কায়দায়!

কলকাতার ভোট করাতে সক্রিয় ভূমিকা নেবে বহিরাগতরা। কমিশনের কাছে বারবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বিরোধীরা। সেই মতো প্রস্তুতি নেয় নির্বাচন সদন। পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের পৌঁছে যায় কড়া বার্তা! সেই বার্তাই যেন প্রতিফলিত হল রবিবার দিনভর!

একবালপুর, খিদিরপুর, ময়ূরভঞ্জ রোড এলাকায় বহিরাগতদের থাপ্পড় ও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে, এলাকাছাড়া করে পুলিশ।

পিছিয়ে থাকেনি লালবাজারের প্রমীলা-ব্রিগেডও! সুষ্ঠু ভোট করাতে পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে সমানে-সমানে টক্কর দেন মহিলা পুলিশকর্মীরাও!

শহিদ স্মৃতি কলোনিতে, ভুয়ো মহিলা ভোটারকে ধাক্কা দিয়ে বুথচত্বর থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ জমায়েত মোকাবিলাতেও ছিল তুরন্ত পদক্ষেপ!

টহলদারি ও তল্লাশির ক্ষেত্রেও যাদবপুরে ধরা পড়ে পুলিশি তৎপরতার ছবি।

ভাঙড় থেকে বহিরাগত ঢোকার খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। বানতলায় গাড়ি থামিয়ে চলে চিরুনি তল্লাশি। বেআইনি জমায়েত নজরে এলেই দ্রুত এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। অভিযান চলে একাধিক বাড়িতে।

ভবানীপুরের ক্ষেত্রেও বদলায়নি পুলিশি সক্রিয়তার ছবিটা! একবালপুরের বিভিন্ন বুথের সামনে থেকে অবৈধ জমায়েত হঠিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা।

কসবার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সামনে পড়ে পিঠ্টান দেয় বহিগতরা! স্থানীয় একটি ক্লাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা।

পুলিশকে এদিন যোগ্য সঙ্গত দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও! যেখানে একটু বেচাল দেখলেই কড়া হাতে মোকাবিলা!

কলকাতার রাসবিহারী থেকে হুগলির চন্দনগর। ভাঙা হয়েছে তৃণমূলের বুথ ও ক্যাম্প অফিস। চন্দননগরে বুথের সামনে থেকে শাসক দলের কর্মীদের হঠাতে লাঠিচার্জও করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

চাঁপদানিতে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস থেকে অবৈধ জমায়েত সরিয়ে, তৃণমূলের প্রতীক সম্বলিত ছাতা খুলে দেন জওয়ানরা।

মগরাহাট পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রেও সক্রিয় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের বচসাও হয় জওয়ানদের।

বুথে ঢোকা নিয়ে বচসার জেরে ক্যানিং পশ্চিমের একটি বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কলকাতা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে রাজ্য পুলিশও ছিল সক্রিয়!