কাকদ্বীপ (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : মেয়েটাকে যারা নৃশংস ভাবে খুন করেছিল, তাদের এখনও শাস্তি হয়নি। সব অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় ভোটের দিন ফের নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল কাকদ্বীপের মৃত স্কুলছাত্রীর পরিবার। মৃতার বাবা বললেন, মনে হয় না এই সরকারের আমলে আর শাস্তি হবে। তবুও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপরই আস্থা রাখলেন তাঁরা। বললেন, ভোটের মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানালাম।
দিনটা ছিল গত বছরের ২০ নভেম্বর। টিউশন থেকে ফেরার পথে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে এলাকা থেকেই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। কাকদ্বীপের এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ভোটের অন্যতম ইস্যু হয়ে ওঠে কাকদ্বীপকাণ্ড। এই পরিস্থিতিতে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই রবিবার ভোট দেন মৃত ছাত্রীর মা-বাবা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন, কিন্তু কাটেনি আতঙ্ক। মৃত ছাত্রীর মা বলেন, আতঙ্কে দিন কাটছে। মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্তদের যোগসাজশ রয়েছে। অভিযুক্তরা তৃণমূলের আশ্রয়ে।
মেয়ে যে স্কুলে পড়ত, সেখানকার ভোটকেন্দ্রেই গণতান্ত্রিকভাবে নিজেদের প্রতিবাদ জানালেন এই প্রৌঢ় দম্পতি। সব অভিযুক্ত ধরা না পড়ায়, বাড়ি ফিরে উগড়ে দিলেন ক্ষোভ। মৃতার বাবা বললেন, ঘটনার পর মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এসেছিলেন। তারপর খোঁজ নেননি। দোষীদের শাস্তি চাই। এই সরকারের খুব অহঙ্কার। তাই ভোটের মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানালাম।
সন্তান হারানো বাবার এই হতাশার মধ্যেও অবশ্য রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছে শাসক দল।কাকদ্বীপের তৃণমুল প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরার দাবি, মৃত ছাত্রীর পরিবারের মাথায় রাজনীতি ঢুকিয়ে কিছু কিছু লোক পরিবেশটাকে বিষিয়ে দিচ্ছে। আমি আন্তরিকভাবে পরিবারটির পাশে ছিলাম। ওদের জন্য মন থেকে কিছু করতে চাই। পুলিশকে বলেছি দোষীরা যেন শাস্তি পায়।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাল্টা বক্তব্য, শাসক দলের কথা যদি সত্যিও হয়, যদি সব কিছু ঠিকঠাকই চলে, তাহলে কেন এখনও একজনের বেশি কেউ ধরা পড়ল না? কেন এখনও শাস্তি হল না দোষীদের? কেন এখনও নিত্যদিন সিঁটিয়ে থাকতে হয় আতঙ্কে? বুথ থেকে ফিরেও প্রশ্নগুলোর উত্তর নেই এঁদের কাছে।