স্বাদে মিষ্টি। এবার ভোটে তাকে নিয়েই অনাসৃষ্টি। লালমাটিতে তার নাম করে রক্তচক্ষু। বাদ গেল না কলকাতার পাশের জেলাও। বীরভূমের ছায়া হুগলির খানাকুলে। গুড়-জলের নাম করে ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি স্থানীয় তৃণমূল নেতার।
খানাকুলের মোক্তারগ্রামের জনা পঞ্চাশেক মহিলাকে ভোট দিতে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও বাধা উপেক্ষা করে ভোট দিতে যান তাঁরা। এরপরই ওই মহিলাদের ভোটারদের উদ্দেশে তৃণমূল নেতার চোখরাঙানি, গুড়-জলের হুমকি!
তৃণমূল নেতার এই হুমকির পরই ওই মহিলা ভোটারদের বাড়িতে তাঁর দলের লোকেরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধর্ষণ ও বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ মহিলা ভোটারদের।
খানাকুলে গুড়-জলের হুমকি। চাঁপদানিতে অবশ্য তারা প্যাকেটে। শ্রীরামপুরের বেল্টিং বাজারে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে প্যাকেট ভর্তি গুড়ের বাতাসা। দেখতে লাল। কিন্তু, এখানে কোনও রক্তচক্ষু নেই। তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, এ হল প্রাণের গুড়-বাতাসা। একই ভাবে বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রের গুপ্তিপাড়াতেও তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস থেকে গুড়-বাতাসা বিলি করা হয়।
বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, এ বারের ভোটের বর্ণমালায় ন-এ নারদ হলে, জ-এ জোট হলে, গ-এ অবশ্যই গুড়-বাতাসা। শাসকের নয়া অস্ত্র। কখনও খাইয়ে, কখনও খাওয়ানোর হুমকি। বীরভূম থেকে খানাকুল-- ভোট চলছে, গুড়-বাতাসাও আছে।