রানীগঞ্জ: রেলের সম্পত্তি চুরির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলিরও পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, সোহরাবকে ফাঁসিয়েছে সিপিএম। রেলমন্ত্রী থাকার সময় বাঁচাননি কেন? পাল্টা প্রশ্ন সিপিএমের।
রেলের সম্পত্তি চুরির দায়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এখনও অবশ্য তাঁর বিধায়কপদ খারিজ হয়নি। বৃহস্পতিবার, সেই সোহরাব আলিকেই দেখা গেল মমতার মঞ্চে। মমতার মঞ্চে সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক সোহরাব। সোহরাবের পাশে মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রী বলেন, বেচারা সোহরাব। কনটেস্ট করতে পারছে না। সিপিএমের আমলে কেস। সিপিএমই ফাঁসয়েছে। তাই ওর বউ নার্গিস বানুকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। দলনেত্রীকে পাশে পেয়ে সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়কের গলাতেও দলনেত্রীর সুর।
সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করায় পাল্টা সরব হয়েছে সিপিএম। বিরোধীদের প্রশ্ন, সোহরাব আলিকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করার পরেও কী ভাবে তাঁকে ফাসানো হয়েছে বলে দাবি করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী? কটাক্ষের সুরে তাদের মন্তব্য, তৃণমূলনেত্রী এখন এমনই চাপে যে সাজাপ্রাপ্ত থেকে অভিযুক্ত, দলীয় সব নেতাদেরই পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এ দিন যেমন মমতার মঞ্চে ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব, তেমনই কয়েক দিন আগে, কলকাতায় তাঁর মিছিলে ছিলেন এমন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা, যাঁদের দেখা গিয়েছে নারদা নিউজের স্টিং ফুটেজে। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো সারদার মতো দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি মদন মিত্রকে এ বারের ভোটে প্রার্থী পর্যন্ত করেছেন। যা এ রাজ্যে আগে কখনও হয়নি।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সাজাপ্রাপ্ত বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে ভোটের বাজারে বিরোধীদের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।