বর্ধমান: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় কলেজছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র বর্ধমানের রসুলপুর। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ-অবরোধ-ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বালি ব্যবসায়ীদের গোপন আঁতাঁত নিয়েও।
ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার সকালে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাইকেলে করে কলেজ যাওয়ার পথে জিটি রোডে বালিবোঝাই লরি পিষে দেয় মাধু মল্লিক নামে এক তরুণীকে। দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মেমারি কলেজ বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর। রাস্তায় দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ক্ষিপ্ত জনতা। গাছের গুঁড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে শুরু হয় পথ অবরোধ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে লরিটি। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যাপক লাঠিচার্জের পাশাপাশি, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত বনধের চেহারা নেয় এলাকা। ঘাতক লরি, তার চালক ও খালাসিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয় কয়েকজন বিক্ষোভকারীকেও।
এই প্রথম নয়। এর আগে গত ৬ মার্চ, তোলার জন্য পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে কালনায় লরির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তারও আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের রবীন্দ্রনগর এলাকায় মৃত্যু হয় চার শিশুক। অভিযোগ, পুলিশের তোলাবাজি এড়াতে দ্রুতগতিতে পালানোর সময় লরি পিষে দেয় ওই শিশুদের। প্রতিবাদে পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের রাইফেল।
সেইসব ঘটনার ছায়া এবার বর্ধমানের রসুলপুরে।