দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ষষ্ঠ দফার ভোটে বিতর্কে একাধিক তৃণমূল প্রার্থী। বহিরাগতদের নিয়ে যাদবপুরের বুথ পরিদর্শন তৃণমূল প্রার্থী মণীশ গুপ্ত। পাণ্ডুয়ায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রহিম নবির বিরুদ্ধে। দলীয় ঝান্ডা লাগানো গাড়িতে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে এলেন কুলতলির তৃণমূল প্রার্থী।
একা সোনালী গুহ নন, তৃণমূলের আরও একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীও শনিবার বিতর্কে জড়ালেন। কোথাও ভোটারদের প্রভাবিত করা, কোথাও বহিরাগত সাঙ্গোপাঙ্গোদের নিয়ে বুথে দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ।
বহিরাগতদের নিয়ে শহিদ স্মৃতি কলোনির একাধিক বুথে ঢুকতে দেখা যায় যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মণীশ গুপ্তকে। একটি বুথে মণীশ গুপ্তর সঙ্গে আসা এক যুবককে বাধা দেন সিপিএমের এজেন্ট। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে বুথ থেকে বার করে দেন। এরকমই একটি বুথের বাইরে ভোটার কার্ড ছাড়া ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগে বাদল নায়েক নামে এক তৃণমূলকর্মীকেও হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে গেলে সাংবাদিকদের রীতিমতো শাসানিও দেন ওই তৃণমূলকর্মী।
পাণ্ডুয়ায় শশীভূষণ হাইস্কুল ও সুলতানিয়া হাই মাদ্রাসার বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থী রহিম নবির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, কুলতলি কেন্দ্রের অন্তর্গত জামতলায় দলীয় ঝান্ডা লাগানো গাড়িতে করে ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মাঝি। এই দৃশ্য নজরে আসায় গাড়িটি আটকে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে গাড়ি থেকে খুলে নেওয়া হয় দলীয় পতাকা। তৃণমূল প্রার্থী অবশ্য এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।
পঞ্চম দফার ভোটে বহিরাগত নিয়ে বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে রাজারহাট-গোপালপুরের তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধে। বাধা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও শাসাতে ছাড়েননি তিনি। পুলিশের সঙ্গে তরজায় জড়ান রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত এবং বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু। ষষ্ঠ দফার ভোটেও শাসক দলের প্রার্থীদের বিতর্কে জড়ানোর সেই ধারা অব্যাহত।