কলকাতা: ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিকের মতো শব্দবন্ধের মোড়ক নয়। রাজ্যে এসে একেবারে সরাসরি বামেদের হাত ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়ে গেলেন রাহুল গাঁধী। যা দেখে কংগ্রেস, এমনকি বামেদেরও অনেকে বলছেন, ভোটের মুখে জোটের হাওয়াকে ঝড়ে পরিণত করতে আর কী চাই!
তবে রাহুল গাঁধী শুধু জোটের সামনে লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েই থামেননি। একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস সহ সভাপতির মুখে এদিন শোনা গিয়েছে জোটের সরকারের প্রসঙ্গও।

এদিন কুলটির সভা থেকে রাহুল বলেন, জোট সরকার গড়লে তা হবে সাধারণ মানুষের সরকার, গরিবের সরকার, আদিবাসীর সরকার। জোটের সরকার ক্ষমতায় এলে তাঁদের অগ্রাধিকার কার্যত যৌথ ইস্তেহারের কায়দায় বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল। তাতে শিল্পায়ন থেকে কর্মসংস্থান। সবই ঠাঁই পেয়েছে। তিনি বলেন, জোটের সরকার এলে আমাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থান। যাতে এখানকার কাউকে চাকরির জন্য বাইরে যেতে না হয়। দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়া হবে বলেও আশ্বাস দেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি।

কুলটি থেকে বাঁকুড়া, দুর্গাপুর-- রাহুলের প্রতিটি সভাজুড়েই এদিন জমজমাট ছিল জোটের ছবি। মঞ্চে রাহুল গাঁধীর পাশে বাম নেতারা। মঞ্চের নীচে হাত-হাতুড়ির ঐক্য। আর রাহুল গাঁধী যখন জোটের প্রচারে একের পর এক সভা করছেন, তখন জোট প্রসঙ্গেই নাম না করে রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে মমতা বলেন, কংগ্রেসের একার মুরোদ নেই, রাজ্যে রাজ্যে জোট করছে। সিপিএম-কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, জোটের বেড়ে চলার ছবি দেখে এটা তৃণমূলের ভয়ের বহিঃপ্রকাশ।