কলকাতা: হাতিয়ার -- সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে দুর্নীতি। এক সুরে এক মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং রাহুল গাঁধী।
শেষ দু দফা ভোটের আগে একমঞ্চে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-রাহুল গাঁধী। এক মঞ্চে বাম-কংগ্রেস জোটের দুই প্রধান কারিগর। দু’জনেই নিশানা করলেন তৃণমূলকে। একসুরে।


বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগকে হাতিয়ার করলেন। ললেন, সন্ত্রাসর শাসন চলছে। বলছে, তৃণমূল না করলে দেখে নেব। আর রাহুলের অস্ত্র দুর্নীতি। কংগ্রেস সহ-সভাপতির গলাতেও শোনা গেল একই সুর।

বললেন, প্রতিবাদ করলে বলে সাজানো ঘটনা...সাজানো ঘটনা নয়-সাজানো বিকাশ...সাড়ে তিন বছরের বাচ্চাকেও মারল। কারণ, তার দাদু অন্য দলের সমর্থক। এ কী ধরনের সরকার! বুদ্ধদেব যেখানে বললেন, আমরা চাই নৈরাজ্যের অবসান। দুঃশাসনের অবসান। সমাজবিরোধীদের সরকারকে হঠাতেই হবে। অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়ে রাহুলের প্রশ্ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লড়বেন বলেছিলেন মমতা। সারদা-নারদায় কেন কিছু করলেন না?

পোস্তায় উড়ালপুল ভেঙে পড়া নিয়েও মমতা সরকারকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, তৃণমূলের লোকেরা টেন্ডার পেয়েছিল। তৃণমূলের কারও ক্ষতি হয়নি। গরিব মানুষ মরেছে। বাংলার হৃদয়ে আঘাত লেগেছে। তদন্ত এবার জোট সরকার করবে। ৬ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা হবে।

জোটের দুই প্রধান কাণ্ডারী। দু’জনেই মন দিয়ে শুনলেন দু’জনের বক্তৃতা। প্রথমে বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন বলছিলেন, তখন তাঁর বক্তব্য অনুবাদ করে রাহুলকে বোঝান অধীর চৌধুরী। আর রাহুলের বক্তৃতা শেষ হতেই তার প্রশংসা করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বলেন, আপনার বক্তৃতা ছিল সুনির্দিষ্ট।
বাম-কংগ্রেসের কর্মীরা বলছেন, জোটের এর চেয়ে ভাল বিজ্ঞাপন আর কী-ই বা হতে পারে।