রঘুনাথঞ্জ (মুর্শিদাবাদ): চতুর্থ দফার ভোটের আগে রাজ্যে এসে ফের দুর্নীতির অস্ত্রেই শান দিলেন রাহুল গাঁধী!
সারদা থেকে নারদ। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ভোটের আগে থেকেই বেশ চাপে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। সেই চাপকে আরও বাড়িয়ে দিতে, রাজ্যে প্রচারে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণে, দুর্নীতিকেই সেরা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন রাহুল গাঁধী।
তিনি প্রশ্ন করেন, সাংসদ-বিধায়করা যে টাকা নিল, সেটা কি সাদা না কালো?
শুধু আক্রমণেই ক্ষান্ত হননি কংগ্রেসের সহ সভাপতি। তৃণমূলকে হারানোর ডাক দেওয়ার পাশাপাশি, দিয়ে রেখেছেন আগাম হুঁশিয়ারিও! বলেছেন, জোটের সরকার এলে, সারদায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা।
রাহুল বলছেন, মমতা দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, এমনটা তিনি বিশ্বাস করেন না! সব বিরোধীদেরই এমনটাই ধারণা। কারণ, তাদের বক্তব্য মমতা ব্যবস্থাটা নেবেন কার বিরুদ্ধে? তাহলে তো তাঁর দলের প্রথম সারির সিংহভাগই কার্যত এর আওতায় চলে আসবে! কারণ, তাঁর চারজন জাতীয় সম্পাদকের মধ্যে তিনজনই নারদার স্টিং-বিদ্ধ।
প্রসঙ্গত এই চারজন হলেন -- কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে, তৃণমূলের তিনজন সহ সভাপতির মধ্যে দু’জনই স্টিং-বিদ্ধ। এই দু’জন হলেন --
মুকুল রায় ও সুলতান আহমেদ।
এছাড়া, তৃণমূলের ২৩ জনের কার্যকরী কমিটির মধ্যে সাতজনই স্টিং-বিদ্ধ! আর এদের বিরুদ্ধে দলীয় তদন্তে ব্যবস্থা নেওয়া কি আদৌ সম্ভব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে? বিরোধীদের দাবি, কখনওই নয়। তাই তাদের বক্তব্য, একমাত্র সিবিআই-এর পক্ষেই নারদের স্টিং-অপারেশনের তদন্ত করা সম্ভব।