পূর্ব মেদিনীপুর ও কোচবিহার:


নির্বাচন কমিশনের সব রকম চেষ্টা সত্ত্বেও অশান্তির ছোঁয়াচ কিন্তু এড়ানো গেল না শেষ দফার ভোটেও। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভার ৩ পঞ্চায়েতের কোনও বুথেই বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। যাঁদের পোলিং এজেন্ট হওয়ার কথা ছিল, অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে শাসক দলের লোকজন। পাঁশকুড়ার ২২টি বুথেও হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরে ফের নির্দেশিকা পাঠিয়ে কমিশন জানায়, ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদের রুখতে, আন্তঃরাজ্য সীমানা কঠোরভাবে সিল করতে হবে। বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে জেলা সীমানা ও জলপথগুলির ওপর। জোর দিতে হবে নাকা নজরদারির ওপর। পাশাপাশি, বাইক বাহিনীর দাপট বন্ধে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন সদনের নির্দেশ পেয়ে দুই জেলাতেই তৎপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা নাকা বন্দি করে তল্লাশি। হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের মধ্যে জলপথে যাতায়াত করতে গেলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর চিরুনি তল্লাশির মুখোমুখি হতে হচ্ছে যাত্রীদের। রানিচক, ব্রজলালচক, বন্দর সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও কড়া নজর রেখেছে বাহিনী ও পুলিশ। হলদিয়ার ঢোকার রাস্তাগুলির মোড়ে মোড়ে পাহারায় জওয়ানরা। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি।

অন্যদিকে, কোচবিহারেও নির্বিঘ্ন ভোটদান নিশ্চিত করতে সচেষ্ট কমিশন। জেলায় তৈরি হয়েছে ৩০টি নাকা পয়েন্ট। বসানো হয়েছে ৪১টি পুলিশ পিকেট। রয়েছে কুইক রেসপন্স এবং নাইট ইনটারভেনশন টিম। ভিনরাজ্যের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ি দেখলেই বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন জওয়ানরা। কোচবিহারের গেস্ট হাউস ও লজগুলিতে পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগতদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, নাটাবাড়ি, সিতাই-সহ জেলার স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকেও কড়া নজরে রেখেছে কমিশন। নজরদারি চলছে বাংলাদেশ সীমান্ত ও অসম সীমানাতেও।