কলকাতা: রাত পেরোলেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বর্ধমানের ৩১টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। শেষ মুহূর্তে তুঙ্গে প্রস্তুতিপর্ব।
রাত পেরোলেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। সোমবার জঙ্গলমহলের দুই জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের মোট ৩১ টি আসনে ভোটগ্রহণ। এই পর্যায়ে মোট ১৩১ জন প্রার্থীর ভাগ্য-পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ২১ জন মহিলা প্রার্থীও রয়েছেন। প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩টি আসনে সোমবার ভোট নেওয়া হবে। এই আসনগুলি হল দাঁতন, কেশিয়াড়ি, খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, খড়গপুর, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, গড়বেতা এবং কেশপুর। জঙ্গলহলের মতো ইতিমধ্যে বুথে বুথে বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। শুরু করেছে নজরদারি। কালও যাতে বুথে অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে সেটাই লক্ষ্য।
ইতিমধ্যেই কেশপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এখানকার বিদায়ী সিপিএম বিধায়ক তথা সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দলুইয়ের অভিযোগ, ন্যাড়াদেউল, আমুড়িয়া, বাজুয়ারা, খেতুয়া এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ ও পর্যবেক্ষকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। দাবি করেছি, সন্ধে থেকে মাঝরাত পর্যন্ত এই এলাকাগুলিতে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল দেয়।
শাসক দল অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তম আনন্দ ত্রিপাঠী বলেন,
কেশপুর নামটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজনৈতিক হানাহানি এবং গণ্ডগোলের আশঙ্কা। সন্ত্রাসদীর্ণ কেশপুরে আগামীকাল ভোট কীভাবে হয়, সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
এদিকে, বাঁকুড়ার ন’টি আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ। এই আসনগুলি হল শালতোড়া, ছাতনা, বাঁকুড়া, বরজোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী। ভোটগ্রহণ হবে বর্ধমানের ৯টি আসনেও। এই আসনগুলি হল পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি, বারাবনি। এই ন’টি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় ৭,৫৬৭ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং ৫,০৯৯ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী মোতায়েন থাকবেন।
সোমবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত।