কলকাতা: পদ্মপুকুরে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়িতে হামলার ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার। বহিরাগত অভিযোগ করে এক যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা অসীম বসু।


পুলিশের তরফে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ‘পদ্মপুকুরে কল্যাণের গাড়ির সঙ্গে বাইক চালকের বচসা বাধে। সেই থেকেই গাড়ি ভাঙচুর, রাজনৈতির সম্পর্ক নেই। পরে, কমিশনের সূত্রেও দাবি করা হয়, ‘অনুমতি না থাকা গাড়িতে যাচ্ছেন কল্যাণ চৌবে। বাইক চালকের বচসা থেকেই গাড়ি ভাঙচুর। এর মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিষয় নেই।’


তবে, এই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় কল্যাণ চৌবেকে ঘিরেই তৈরি হল বিতর্ক। তিনি নিজে বিজেপি নেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ চৌবে।


কিন্তু, তিনি ভবানীপুরের ভোটার না হয়েও কেন ভবানীপুর অঞ্চলে ছিলেন? কল্যাণ চৌবে জানান, তিনি হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বললেন, আমি বিহারের জিতেন রাম মাজির দল হ্যামের প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে এসেছি এখানে। 


অভিযোগ উঠেছে, যে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, তার অনুমতি ছিল না না পুলিশের কাছে। এপ্রসঙ্গে কল্যাণের সাফাই, অনুমতি থাকা গাড়ি আচমকা খারাপ হওয়ায় অন্য গাড়ি নিতে বাধ্য হন। বললেন, ‘অনুমতি থাকা গাড়ি এই ঘটনার এক ঘণ্টা আগে খারাপ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অন্য গাড়ি নিতে হয়েছে। কমিশনকে জানানোর সময় পাইনি।’


কল্যাণকে ঘিরে আরও একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন যে যুবককে পুলিশ পাকড়াও করে, তিনি বিজেপি কর্মী বলে দাবি। তিনি অন্য দলের এজেন্ট হলে, তাঁর সঙ্গে কী করে বিজেপি কর্মী থাকছেন, এই প্রশ্নের জবাবে কল্যাণ চৌবে বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে একই ভাবধারার দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা।’


ভবানীপুরের হাইভোল্টেজ ভোটে ঘটনার ঘটঘটা বজায় রয়েছে দিনভর। এর আগে, খালসা গার্লস হাইস্কুলের বুথে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগে তৃণমূল-বিজেপি তুলকালাম বাঁধে।


দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলের বুথে ভোট পরিদর্শনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। বুথের মধ্যে এই যুবককে দেখে সন্দেহ হওয়ায় ভোটার কার্ড দেখতে চান প্রিয়ঙ্কা। 


অভিযুক্তকে বাইরে বের করার সময় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। বুথের সামনের রাস্তায় নেমে আসে গোলমাল। পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল ও বিজেপি।


পাশাপাশি, ভোটের দিন ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে ট্যুইটারে আবেদন জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমের ট্যুইট, ভবানীপুরের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, উন্নয়ন ও সমানাধিকারের জন্য ভোট দিন। 


সুব্রত মুখোপাধ্যায় ট্যুইট করেন, আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিনটি আসনে আজ ভোটগ্রহণ। বিপুল ভোটে দিদির জয় নিশ্চিত করার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ভবানীপুরের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন: ভবানীপুরে ধাক্কাধাক্কি, উত্তেজনা ! বুথের মধ্যে ভুয়ো ভোটার, অভিযোগ বিজেপির