ভবানীপুর : এবার ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে ঘিরে বিক্ষোভ। মদন মিত্রর পাড়ায় প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি প্রার্থী সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেন।


আজ সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। সকালে ভবানীপুরে ভোট শুরু হতেই ১২৬ নম্বরে বুথে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ জানান প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুর ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ রোডে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও লড়াইয়ে না পেরে মিথ্যা অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ‘মক পোলের জন্য দেরি হয়েছে, কোনও ইভিএম বিভ্রাট হয়নি’।


আরও পড়ুন ; হুইলচেয়ারে বসে চেতলায় ভোট দিতে এলেন ৯০ ঊর্ধ্ব বছরের বৃদ্ধা


এদিকে আজ, ভোটের দিনে ভবানীপুর গুরদোয়ারার সামনে জমায়েতের অভিযোগ ওঠে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুলিশ কর্মীকে ধমকান বিজেপি প্রার্থী। ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


তবে ভোটের সকালে রীতিমতো খোস মেজাজে দেখা গেছে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ হাকিমকে ! চায়ের কাপ হাতে তিনি বলেন, ' আরে আমরা পাড়ার ছেলে। ছোট থেকে বন্ধু। আমার বাবা, ওর বাবাও বন্ধু। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে। তা বলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গায়। ' ভোটের দিন যেখানে প্রত্যেক দলই অপর দলের ত্রুটি খুঁজে অভিযোগের তির ছোড়ে, সেখানে এমন সৌজন্যের ছবি নজর কাড়ল সকলের।


যদিও ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি। এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে তারা। এই পরিস্থিতিতে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের নজরবন্দি করে রাখার দাবি জানানো হয় বিজেপির তরফে। ভবানীপুরের বাইরে নজরবন্দি করে রাখার দাবি গেরুয়া শিবিরের।