কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ভবানীপুরে বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ প্রচারে মাঝে সুযোগ পেলেই বাড়িতে এসে সারছেন মধ্যাহ্নভোজ। নির্বাচনী কেন্দ্র বাড়ির কাছে হওয়ায় সামান্য অবসরে সেরে নিচ্ছেন ছোট্ট করে ভাতঘুম। গরমের মধ্যে সুস্থ থাকতে সকালে ও রাতে হালকা খাবার খাচ্ছেন রুদ্রনীল।


রুপোলি পর্দা থেকে ভোটের ময়দান, বদলে গেছে তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের লাইফস্টাইল। ঠিক সেভাবেই বদলেছে রোজকার মেনু। রুদ্রনীল ঘোষ, টালিগঞ্জের বাসিন্দা, ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। সকালে ও বিকেলে রুদ্রনীলকে নিয়মিত প্রচারে বের হতে হচ্ছে । তবে বাড়ি থেকে নির্বাচনী কেন্দ্র ঢিলছোড়া দূরত্বে হওয়ায় প্রচারের এক ফাঁকে নিজের বাড়িতে এসেই দুপুরের খাওয়া সেরে নিচ্ছেন তিনি। অবিবাহিত হলেও বেশ সাজানো সংসার রুদ্রনীলের। বাড়ি ফিরেই নুন-জল, স্নান সেরে খাওয়া-দাওয়া। মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে দেখা গেল- ভাত, ডাল, লাল শাক ভাজা, বেগুন ভাজা, লাউবড়ি, আলু-পটলের তরকারি,আড় মাছের ঝোল সঙ্গে পাতিলেবু ও কাঁচা পেঁয়াজ।


পুষ্টিবিদদের মতে,  ভাত প্রধানত শর্করার প্রয়োজন মেটায়।  শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডাল। বেগুনে আবার ক্যালরি কাউন্ট কম। ফাইবার ও জলীয় ভাগ বেশি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মাছে থাকে ভিটামিন-এ এবং অনেকটা ক্যালসিয়াম। রুদ্রনীল সম্ভবত প্রথম তারকা প্রার্থী যিনি প্রচারের মধ্যেও নিজের টেবিলে বসে নিজের বাড়ির রান্না খান। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে আমার কেন্দ্রের দূরত্ব কম। অন্য দলের বন্ধুদের তুলনায় আমি এব্যাপারে একনম্বরে এগিয়ে আছি। এটা বলতে পারি নুন হলে নুন দেবে। মাছের পিসটা ছোট হলে ধমকাতেও পারি।’’


দুপুরে কব্জি ডুবিয়ে খেলেও সকাল ও বিকেলে হাল্কা খাবারের উপরেই থাকেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। কর্নফ্লেক্স ও দুধ খেয়ে রুদ্রনীলের সকালের প্রচার শুরু। সন্ধেবেলায় বাড়িতে থাকলে শশা-মুড়ি৷ প্রচারে বাড়ির বাইলে থাকলে একাধিকবার চা, সঙ্গে সিঙাড়া, যা পাই তাই খাই গোছের ব্যাপার। রাতে প্রতিদিন রুটি আর রকমারি তরকারি। সকাল-সন্ধে প্রচারের মাঝে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর খানিকটা জেগে ঘুমনো রুদ্রনীলের অভ্যেস। নিজের খাটে আধশোয়া হয়ে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে ঢুলু ঢুলু চোখ। সময় মতো আবার প্রচারে বের হতে হবে যে। ভরপেট ভাত আর ভাতঘুম, ভাতের সঙ্গে তো ভুঁড়ির সম্পর্ক। আর অভিনয়ের সঙ্গে তো ভুঁড়ি একদমই যায় না। রুদ্রনীল জানান, ‘‘জিম আর হয় না। তবে ঈশ্বরের কৃপায় এখনও ভুঁড়িটা হয়নি। খাওয়ার পর একটু ভাতঘুম দিতে রোজই লোভ হয়।’’


সকালে সন্ধে লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে খাওয়া দাওয়ার পর নিজের পালঙ্কে শুয়ে ভাতঘুমের অভ্যেস। ক’জনেরই বা এরকম সৌভাগ্য হয়?