কলকাতা: বেলগাছিয়ায় (belgachia) ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কুমুদিনী বিদ্যাপীঠে বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা, মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথের বাইরে বিজেপি (BJP) প্রার্থী শ্রীরাম যাদবের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী তরুণ সাহার বচসা। লোক নেই, তাই এজেন্ট বসাতে পারেনি, দাবি তৃণমূল প্রার্থীর। 


পুরভোট শুরু হতেই শহরের দিকে দিকে অশান্তির চিত্র দেখা যাচ্ছে। এদিন, সকালে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে টি বোর্ডের সামনে উত্তেজনা ছড়ায় ভুয়ো ভোটারকে নিয়ে। এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে। ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার দাবি কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের। যদিও এই অভিযোগ ওড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।


অন্যদিকে, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪ নম্বর বুথে ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর হয়ে ভোট দেন নাতনি। চোখে দেখতে পাই না, তাই সঙ্গে এনেছি, দাবি ঠাকুমার।


বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই সকাল ৭টা থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি  উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।


অন্যদিকে, চেতলায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে বাম এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। সিপিআই প্রার্থী পারমিতা দাশগুপ্তর অভিযোগ, বুথের বাসিন্দাকে এজেন্ট হিসেবে বসাতে হবে, এই টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে বাধা দেন প্রিসাইডিং অফিসার। প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রিসাইডিং অফিসারের।


আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের ছবি সরাল তৃণমূল কর্মীরা, পুলিশের নির্দেশেই হল এই কাজ