কলকাতা: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) যত দিন এগিয়ে আসছে, ততই একের পর এক বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠছে। শাসক ও বিরোধী দলগুলি প্রায় প্রত্যেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে যাচ্ছে কমিশনে (Election Commission)। এবার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের (Basirhat BJP Candidate Rekha Patra) ইস্যুতে, দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নালিশ বিজেপির (BJP)।


চব্বিশের লোকসভা ভোটে অন্যতম ইস্যু উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। আর এবার বসিরহাটের হয়ে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন রেখা পাত্র। আর যাকে দুদিন আগেই ফোন করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। শক্তি স্বরূপা বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের বাংলার এই কেন্দ্রটি অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র। আর সেই বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের অভিযোগে নালিশ বিজেপির। ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকার এর ফলে লঙ্ঘিত হয়েছে, অভিযোগ বিজেপির। সরকারি সুবিধা পেতে রাজ্য সরকারকে দেওয়া তথ্য কী করে পেয়ে গেল তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির।


রাজ্য সরকারের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে আগেই বিঁধেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের তরফে এক্স হ্যান্ডলে রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যকার্ডের স্ক্রিনশট শেয়ার করে আক্রমণ করে লেখা হয় হাতে নাতে ধরা পড়েছেন। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র যে খেলা খেলছেন, তা দ্বিচারিতার চরম! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সব সুযোগ-সুবিধা উপভোগও করছেন। আবার দিল্লির জমিদারদের সঙ্গে সমঝোতাও করে চলছেন! প্রধানমন্ত্রী, পরের বার ওঁকে (রেখা পাত্র) ফোন করলে, অবশ্যই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সম্পর্কে জেনে নেবেন। তাতে, আমাদের নেতাদের মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্যসাথী, কেন আয়ুষ্মান ভারতের মতো ব্যর্থ প্রকল্পকে ছাপিয়ে গেল, সেটা বুঝতে সাহায্য করবে। 


আরও পড়ুন, জলপাইগুড়িতে মৃত ৫ , আর্থিক সহায়তার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর 


তৃণমূলের আক্রমণের দিনই গত বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির IT সেলের প্রধান অমিত মালব্য। একই অভিযোগ তুলে জাতীয় তফশিলি কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন রেখা পাত্রর আইনজীবী। তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ তুলে ঠোকা হয় নালিশ। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রেখা পাত্রর স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত তথ্য, মোবাইল ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পোস্ট করেছিলেন। যা গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকারকে খর্ব করেছে। যা ১৯৮৯ সালের তফশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের নজরে অপরাধ।