BJP Brigade Rally LIVE: বাংলায় পদ্ম ফুটছে কারণ আপনার দল পাঁক ছড়িয়েছে, মমতাকে নিশানা মোদির
BJP Brigade Rally PM Modi Speech LIVE Updates:পরিববর্তনের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপরও কোনও বদল হয়নি বঙ্গবাসীর জীবনে। এবার হবে আসল পরিবর্তন। ব্রিগেড থেকে তৃণমূলের দিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
মমতাকে কটাক্ষ করে মোদি বলেছেন, রাগের মাথায় আমায় কখনও রাবণ, দানব, দৈত্য, গুণ্ডা বলছেন। দিদি এত রাগ কেন? ‘কথায় কথায় গালাগাল, এত রাগ কেন দিদি?’ আজ বাংলায় পদ্ম ফুটছে কারণ আপনার দল পাঁক ছড়িয়েছে। দিদিকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। দিদি এখন সেই দিদি নেই যে বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, এখন দিদির রিমোর্ট কন্ট্রোল অন্য কারও হাতে রয়েছে।বিজেপির লোকদের বহিরাগত বলছে। কংগ্রেস যাঁরা তৈরি করেছিল তাঁরা বহিরাগত ছিল না।
বামেরা এতদিন শাসন করেছেন তাঁরাও মার্ক্স, লেনিনের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী।
তৃণমূলও কংগ্রেস থেকেই তৈরি হয়েছে, এরাও বহিরাগত। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈরি দল বিজেপি তৈরি হয়েছে বাংলার থেকে। পদ্মে বাংলার মাটির সুবাস রয়েছে। তাই বলা হয়েছিল, লোকসভায় টিএমসি হাফ, এবার পুরো সাফ। লোকসভা ভোটে মন্ত্র ছিল চুপচাপ পদ্মে ছাপ। এবার জোরছে ছাপ, টিএমসি সাফ।
মোদি বলেছেন, ‘ভয় পাবেন না, নির্ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিন। কুশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিন। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিন।
মোদি বলেছেন, ‘বাংলার সরকার আটকে দিচ্ছে, কিন্তু কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চাই। আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাই। ‘এবার বলুন, বন্ধুত্ব চান, না তোলাবাজি। আমার বন্ধুত্বে ভয় পেয়ে বলতে শুরু করেছেন খেলা হবে। ‘সত্যিই আপনারা অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলার মানুষকে লুঠ করেছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আপনারা খেলা করেছেন’।
মোদি বলেছেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে বাংলার মা-মেয়েদের প্রণাম। বাংলায় আজও জলকষ্ট, কেন্দ্রের জল জীবন মিশন প্রয়োজন। আজও বাংলায় দেড় কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছয় না। গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করতে হবে! কিন্তু আফশোস তৃণমূল সরকার গরিবদের নিয়েও রাজনীতি করে। কেন্দ্রের টাকা আজ পর্যন্ত খরচ করতে পারেনি তৃণমূল সরকার। দিদি ঠিক করে নিয়েছেন, কাজ করবও না, করতেও দেব না। আমরা যা বলি তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করি। বিরোধী বলেন, আমি নাকি বন্ধুদের জন্য শুধু কাজ করি।‘আমার বন্ধু গরিব মানুষ, আমি তাঁদের জন্য কাজ করি। করোনার সময় গরিব বন্ধুদের রেশন দিয়েছি, গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছি। করোনার ভ্যাকসিন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করে দিয়েছি। ঝুপড়িতে জন্ম নেওয়া শিশুও আমার বন্ধু। বাংলায় আমার এই বন্ধুদের জন্য আরও কাজ করব।
কয়েকদিন আগে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ই- স্কুটারে চড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেছেন, কিছুদিন আগে আপনি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। ভাল হয়েছে আপনি পড়ে যাননি, তাহলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে সেই রাজ্যকেই শত্রু ভেবে বসতেন। কিন্তু আপনার স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গেল। কিন্তু স্কুটি নন্দীগ্রামে পড়ে গেলে আমি কী করব!
মোদির অভিযোগ, মাটির নামে এখন বাংলায় সিন্ডিকেট চলছে। তিনি বলেছেন, বাংলা এখন এক স্বরে বলছে ‘আর নয় অন্যায়’। দিদি শুনতে পাচ্ছেন, এটা বাংলার আওয়াজ। বাংলার মানুষ একটাই প্রশ্ন করছে, তাঁরা আপনাকে দিদির ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিল।কিন্তু আপনি নিজেকে একজন ভাইপোর পিসি হয়ে কেন থাকলেন?বাংলার লক্ষ লক্ষ ভাইপো-ভাইঝির আশাপূরণ না করে নিজের ভাইপোর শুধু উন্নতি কেন করলেন? কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের পথেই আপনি কেন হাঁটলেন।
আপনি শুধু বাংলার নয়, গোটা ভারতের মেয়ে।
মোদি বলেছেন, স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল।তারপর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু হয়।এরপর বামপন্থীরা এসে বলেছিল কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও। এই বামপন্থীরাই বাংলায় ৩৪ বছর শাসন করেছে। সেই কালো হাত আজ সাদা হল কী করে!যে হাতকে ভাঙতে চেয়েছিল, সেই হাতের আশীর্বাদ নিতে হচ্ছে! বামদের বিরুদ্ধে মমতা লড়াই করে মা-মাটি মানুষের স্লোগান তুলেছিলেন।কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? কৃষক, শ্রমিকের জীবনে কোনও পরিবর্তন এসেছে?গরিব মানুষকে আরও গরিব করা হয়েছে। খুনের রাজনীতির কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী অবস্থা আপনারা জানেন। ঘরে ঢুকে মায়েদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা দেশ দেখছে। ৮০ বছরের মায়ের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা দেশ দেখেছে। গত ১০ বছরে বাংলার প্রত্যেক মা চোখের জল ফেলেছেন।
রাষ্ট্রীয় শিক্ষা নীতি বাংলায় প্রণয়ন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বাংলা ভাষায় পড়ানো হবে। প্রান্তিক পড়ুয়ারা ইংরেজি না জানলেও ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়তে পারবে। বাংলার মানুষের মনে রাখা উচিত বারবার তাদের সঙ্গে ছলনা করা হয়েছে।স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে কিছুটা কাজ করেছিল। তারপর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু হয়।
মোদি বলেছেন, বিজেপির সরকার তৈরির পর ঝুপড়িবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া হবে। অন্যান্য শহরেরও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সম্ভাবনা আছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে যুব সমাজ থেকে বয়স্কদের জন্যও প্রকল্প। আসল পরিবর্তনের জন্য পঞ্চায়েত স্তরেও উন্নয়ন প্রয়োজন।বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শেষ করা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পুনরায় গড়ে তোলা হবে
মোদি বলেছেন, দেশের মতো বাংলার উন্নয়নের জন্য আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের ৫ বছর তার ভিত্তি তৈরি করবে। শুধু বাংলার উন্নয়নের জন্য ভোট নয়, দেশ গঠনের জন্য ভোট দিন।
স্বাধীনতার শতবর্ষে বাংলা আরও একবার দেশের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছবে। কলকাতা সিটি অফ জয়, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। কলকাতাকে সিটি অফ ফিউচার বানাতে হবে।কলকাতাকেও সেরা শহরের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ এখন আরও দ্রুত হচ্ছে।এদের কমিশনবাজির জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের কাজ আটকে আছে।
মোদি বলেছেন, এখানে অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দেওয়া হবে। স্বাধীনতার পর এই ৭৫ বছরে বাংলার থেকে যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা আপনারা ভাল জানেন। বাংলার থেকে যা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে দিতে হবে।
মোদি বলেছেন, আজ আমাদের মাঝে বাংলার ছেলে মিঠুনদা রয়েছেন। তাঁর লড়াই সবার কাছে দৃষ্টান্ত।অনেকের মতে আজই ২ মে চলে এসেছে। সোনার বাংলার সংকল্প নিশ্চয় পূরণ হবে।আসল পরিবর্তনের জন্য মানুষ আজ ব্রিগেডে এসেছেন। এই ব্রিগেড থেকে আমি আসল পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বাংলার পুনর্নির্মাণ, সংস্কৃতির রক্ষা, শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করব।প্রতি মুহূর্তে আপনাদের জন্য বাঁচব, আপনাদের সেবা করব। প্রতি মুহূর্তে কাজের মধ্যে দিয়ে আপনাদের মন জিতব।
তিনি বলেছেন, বিজেপি যে সরকার গড়বে সেখানে বাংলার মানুষের উন্নয়নই শেষ কথা হবে।বিজেপি সরকারের প্রেরণা হবে আসল পরিবর্তনের মন্ত্র।আসল পরিবর্তন মানে যুবকদের কর্মসংস্থান। আসল পরিবর্তন মানে মানুষ পালাবে না এখান থেকে। আসল পরিবর্তন মানে একবিংশ শতকে আধুনিক পরিকাঠামো। আসল পরিবর্তন মানে গরিব মানুষেরও সার্বিক উন্নতি।আসল পরিবর্তন মানে সব ক্ষেত্রের মানুষের সমান যোগদান।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বা জঙ্গলমহল সবপক্ষের উপরই সমান নজর থাকবে।
মোদির বলেছেন, বাংলার মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করেছেন।কিন্তু বাংলার মানুষের ইচ্ছাশক্তি ভাঙতে পারেনি।আজকের এই সমাবেশ তারই সাক্ষী।বাংলা চায় উন্নতি, শান্তি, প্রগতিশীল বাংলা, সোনার বাংলা। এবারের ভোটে একদিকে তৃণমূল, বাম-কংগ্রস ও তাদের বাংলা বিরোধী কাজ। আর অন্যদিকে বাংলার মানুষ কোমর কষে তৈরি হয়েছে।সব ক্ষেত্রের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করছেন।সবার একটাই ইচ্ছা বাংলাকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়া।
মোদি বলেছেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এই ঐতিহাসিক ব্রিগেড ময়দানে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। বাংলা আজ গোটা ভারতের প্রেরণা ভূমি। গত দশকে ব্রিগেডে বহুবার স্লোগান উঠেছে ব্রিগেড চলো। কিন্তু এই ব্রিগেড উন্নয়নে বাধা দেওয়ারও সাক্ষী। ধর্মঘটের নীতি নির্ধারণের সাক্ষীও এই ব্রিগেড। কিন্তু বাংলার মানুষ পরিবর্তনের আশা ছাড়েনি। সেই আশায় মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করেছিলেন।কিন্তু মানুষের বিশ্বাস ভেঙেছেন মমতা।‘
মোদি বলেছেন, ‘বাংলার মাটি আমাদের সংস্কার তুলে ধরেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার মাটি প্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলার মনীষীরা এক ভারত, শক্তিশালী ভারত গড়তে সাহায্য করেছেন।’
মোদি বলছেন, ‘বাংলা তথা কলকাতার ভাই-বোনদের প্রণাম। রাজনৈতিক জীবনে কয়েকশ সভা করতে হয়েছে। কিন্তু এত বড় জন সমাবেশ দেখার সৌভাগ্য হয়নি’
ব্রিগেডে ভাষণ শুরু নরেন্দ্র মোদির।
ব্রিগেড মঞ্চে নরেন্দ্র মোদিকে উত্তরীয় পরালেন মিঠুন চক্রবর্তী। মঞ্চে তাঁকে স্বাগত জানালেন দিলীপ ঘোষ
রেসকোর্স হয়ে ব্রিগেডে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদি
ব্রিগেডের আকাশে মোদির কপ্টার। মঞ্চে মোদির নামে জয়ধ্বনি।
বিপুল জন সমাবেশের দিকে যাচ্ছি, কলকাতায় নেমে ট্যুইট মোদির।
মিঠুন বললেন, ‘আমি গর্বিত, আমি বাঙালি। ভুলবেন না বিদ্যাসাগর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনকে।
আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।আমি যা করি, আমি তাই বলি’
মিঠুন বললেন, ‘আজকের দিনটা স্বপ্নের মতো। কানাগলিতে জন্মে মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে। এটা স্বপ্ন ছাড়া আর কি?’
বক্তব্য রাখছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক ব্রিগেড যাঁরা ভরিয়েছেন, সেই গণদেবতাকে প্রণাম। টিম বেঙ্গল বিজেপিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। কাটমানি-সিন্ডিকেট-তোলাবাজি তুলতে না পারলে বাংলা পিছোবে।২১ বছর তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম।এখন ওটা প্রাইভেট লিমিটেড। যাঁদের মেরুদণ্ড আছে, তাঁরা ওই দলে থাকতে পারবেন না। মিঠুনদা ব্রিগেডে এসেছেন, আগামী প্রজন্মের ধ্বংস হওয়া আটকাতে। জনগণের দ্বারা পরীক্ষিতরা এসেছেন আজকের ব্রিগেডে’।
শুভেন্দুর দাবি, ‘এরা ফিরে এলে পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হবে’। তিনি বলেছেন, ‘মাননীয়া ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বুদ্ধি কিনেছেন। দিদিকে বলো-র ফোন এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
‘বাংলার গর্ব মমতা, বিবেকানন্দ হারিয়ে গেলেন? মাননীয়াকে কেউ বাংলার মেয়ে বলে মানেন না।’
কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ নরেন্দ্র মোদির। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেসকোর্স হয়ে ব্রিগেডের মঞ্চে পৌঁছবেন মোদি।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, আজকের ব্রিগেড জন-গণ অধিনায়কের ব্রিগেড। পশ্চিমবঙ্গকে বিনিয়োগ-বান্ধব হিসেবে তৈরি করতে হবে। আজ মানুষ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসছেন। তৃণমূলের ফেয়ারওয়েল শুরু হয়ে গিয়েছে।নিজের কথা বলে নিজেদের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি। আমাদের রাজনীতি সমন্বয়ের, বিভাজনের নয়। আগের রবিবারের ব্রিগেডে ভাগীদারীর ডাক দেওয়া হয়েছে। আবার পশ্চিমবঙ্গকে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে।
কংগ্রেস-সিপিএম এতদিন মালাবদল করেছেন, এখন সঙ্গে ভাইজান।ভাইজানকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।’
লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘ব্রিগেডে মানুষের সুনামি আসছে।
বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করলেন লকেট। তিনি বলেছেন, ‘আগের ব্রিগেডে দিদিমণির সহযোগিতায় লোক এসেছিল। ৩৪ বছরে কিছু করতে পারেনি বাম-কংগ্রেস। ২০২১-এ সোনার বাংলা, আমরা লড়ব, জিতব।বাংলার মেয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য এত টাকা কোথা থেকে আসে? বিজ্ঞাপনে ১৫ কোটি, দিদির পায়ে হাওয়াই চটি।সিন্ডিকেট-কাটমানির টাকা গিয়েছে এক জায়গাতেই।’
বিজেপিতে যোগ দিলেন মিঠুন। তাঁকে উত্তরীয় পরালেন কৈলাস-দিলীপ। বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন মিঠুন।
অর্জুনের দাবি, রাজ্যে ৯৫ হাজার কলকারখানা বন্ধ। বাংলায় শিল্প বলে কিছু নেই। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভাতা ও ভাঁওতার সরকার। অর্জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার আগে পিসি-ভাইপো ব্যাঙ্ককে পালাবেন।
অর্জুন বলেছেন, কেন্দ্র সরকার টাকা দিলেও প্যারাটিচারদের পাওনা বঞ্চিত করে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেছেন, ‘আমাদের দাদা, সবার দাদা মিঠুন চক্রবর্তী মঞ্চে উপস্থিত’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেছেন, সাড়ে পাঁচ লক্ষ সরকারি পদ খালি রয়েছে। কিন্তু মমতা-সরকার সেই শূন্যপদ পূরণ করছে না। প্যারা-টিচারদের প্রাপ্য দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।
সায়ন্তন বলেছেন, এই নির্বাচন রাজ্যের মানুষকে নতুন দিশা দেখানোর নির্বাচন। না হলে পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।
সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘টিএমসি মানে টাকা মারো কোম্পানি। চাকরির নামে প্রতারণা করেছে তৃণমূল। মোদি দিচ্ছেন টাকা, দিদি নিচ্ছেন কমিশন। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদলে টাকা লুঠ করছে তৃণমূল’।
দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়ের মতো বিজেপি নেতারা ব্রিগেডে পৌঁছেছেন। রয়েছেন একঝাঁক টলি-তারকা। এসে পৌঁছেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।
ব্রিগেডে জনপ্লাবন, দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। তাঁর দাবি, এটা রাজ্যে পরিবর্তনের পূর্বাভাস।আজকের সমাবেশ ইতিহাস তৈরি করবে।
কলকাতা ঘুরতে এসেছেন, লাভ কিছু হবে না। মোদির ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর।
ব্রিগেডের মঞ্চে মিঠুনকে স্বাগত জানালেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-আবেগে ভেসে ব্রিগেডে পৌঁছলেন মিঠুন। পথে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটে সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে আটকে পড়েছিল তাঁর গাড়ি।
বিজেপির প্রচারে হাতিয়ার নতুন স্লোগান। থাকবে ‘আর নয় হিংসা’ স্লোগান। সেই সঙ্গে থাকবে ‘আর নয় কাটমানি’ স্লোগানও।
মিনিট দশেক আটকে থাকার পর ফের ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দিলেন মিঠুন। এর আগে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে আটকে পড়ে তাঁর গাড়ি। মহাতারকাকে এক ঝলক দেখতে থমকে যায় গাড়ি, বাস।
পথে মিঠুনের গাড়ি ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে আটকে পড়লেন মিঠুন। গাড়ির সামনেই নিজস্বী তোলার হিড়িক।
ব্রিগেড রওনা দিলেন সিনেমা তারকা মিঠুন চক্রবর্তী।আজ থাকবেন মোদির সঙ্গে মূল মঞ্চে। ধূতি-পাঞ্জাবি পরে ব্রিগেডের সভায় যোগ দিতে আসছেন তিনি।
ভাঙড়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত দু’দলের ৭ কর্মী। বিজেপি কর্মীদের ব্রিগেডে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির।বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে হামলা চালায়, পাল্টা তৃণমূল
ব্রিগেডে আসছেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র। রওনা দেওয়ার আগে তিনি বললেন, এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পরিবর্তনের পরিবর্তন দরকার। প্রার্থী হতে পারলে ভালো লাগবে বলেও জানিয়েছেন রিমঝিম।
ব্রিগেডে মোদির সঙ্গে মূল মঞ্চে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা
কিছুক্ষণ পরই দিল্লি থেকে বিমানে রওনা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা বিমানবন্দর পৌঁছে কপ্টারে রেসকোর্স। সেখান থেকে পৌঁছবেন সভামঞ্চে।
মঞ্চে এসে পৌঁছলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
মোদিজিকে দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। সোনার বাংলা গড়াই লক্ষ্য, বললেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী
বেলা যত বাড়ছে, ব্রিগেডে বাড়ছে ভিড়। দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেড ময়দানে ভিড় জমাচ্ছেন।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য লেবুতলা পার্কে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে প্রায় ৪০ হাজার জনের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থেকে ঢোল আর তাসা পার্টি নিয়ে ব্রিগেডের সভায় এসেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
সকালে শান্তিপুর লোকালে চড়ে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাদের মধ্যে কেউ সেজেছেন হনুমান, কেউ আবার গোপাল ভাঁড়।
মিঠুন চক্রবর্তী থাকছেন ব্রিগেডে। এছাড়া আর কোন কোন তারকা থাকেন, সেদিকে এখন নজর সকলের। সেইসঙ্গে ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মোদি কী বার্তা দেন, তা জানতেও উৎসুক রাজনৈতিক মহল।
ব্রিগেড আজ মোদি-ময়। দূর-দূরান্তের জেলা থেকে ট্রেনে করে কলকাতায় আসছেন বিজেপি কর্মীরা।
ব্রিগেডে আসার জন্য নন্দীগ্রাম থেকে রওনা দিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
ব্রিগেড গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটাই সবকিছুর মাপকাঠি নয়। ২০১১, ২০১৬-য় ব্রিগেড ভরিয়েও বামেরা হেরেছিল। ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। একইসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আজ ব্রিগেড থেকেই সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেওয়া হবে।
জমজমাট রবিবাসরীয় ভোটপ্রচার। মোদির ব্রিগেডের দিন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মুখে খেলা হবে স্লোগান। কাটোয়া থেকে ট্রেনে করে কলকাতামুখী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মুখে শোনা গেল এই স্লোগান।
কাঁকসার বাঁশকোপা টোল প্লাজার কাছে জড়ো হয়ে বাস করে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিধানসভা ভোটে জেলার ৯টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই।
জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে ব্রিগেডের সভায় চললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
ব্রিগেড সমাবেশকে বর্ণময় করে তোলার চেষ্টা। মোদির মুখোশ পরে প্রস্তুত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মুখে ভারতমাতা কি জয় ধ্বনি।
সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছছেন ব্রিগেডে
ভোরের আলো ফুটতেই ব্রিগেডে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড়
আজ মোদির ব্রিগেড। দূর-দূরান্তের জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে আসতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ময়দানের ধার দিয়ে উনুন জ্বালিয়ে চলছে রান্না। মেনুতে রয়েছে ভাত-বাঁধকপির তরকারি, এমনকী মাংসও।
আজ শহরে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতরে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বাসে করে আসছেন কর্মী-সমর্থকরা। পার্টি অফিসের সামনে থেকে ছোট ছোট মিছিল করে ব্রিগেডের পথে রওনা দিচ্ছেন তাঁরা।
সকালে বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
আজ মোদির ব্রিগেডে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। রাতেই কলকাতায় এসেই বেলগাছিয়ায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে বৈঠক। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শুধু বললেন, বক্তব্য রাখব, কিছু তো হবেই।
আজ মোদির ব্রিগেডে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: প্রথম দুদফা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আজ ব্রিগেড থেকে বাংলা দখলের যুদ্ধে ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দশ লাখ মানুষের জমায়েত করে রাজ্যে তাদের ক্ষমতা দেখাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। মোদীর সভায় মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতি নিয়েও জোর চর্চা চলছে এখন।
লক্ষ্য নীলবাড়ির দখল। প্রথম দু-দফা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলায় বিজেপির মেগা প্রচার। প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, অনেক বড় ঐতিহাসিক ব্রিগেড হবে। বহু মানুষ আসবেন। মহিলারাও আসছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেকে এসেছেন।
রবিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দিল্লি থেকে বিমানে রওনা হবেন নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন দুপুর ১টা ২০ মিনিটে।১টা ২৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কপ্টারে রওনা দেবেন তিনি।১টা ৪৫ মিনিটে নামবেন রেসকোর্সের হেলিপ্যাড ময়দানে।দুপুর ২টো নাগাদ পৌঁছবেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।ব্রিগেড কর্মসূচি সেরে বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে আবার কলকাতা বিমানবন্দর।সেখান থেকে সোজা দিল্লি।
শুধু ব্রিগেডেই থাকছে ৩ হাজার কাটআউট! ২০টি জায়ান্ট স্ক্রিন!
নরেন্দ্র মোদী যে মূলমঞ্চ থেকে বক্তৃতা করবেন, তার উচ্চতা ১০ ফুট। দৈর্ঘ্যে ৭২ ফুট, প্রস্থে ৪৮ ফুট
মূলমঞ্চের মাথায় হ্যাঙারের আচ্ছাদন। মোদীর মঞ্চ জুড়ে দেখা যাবে এলইডির ঝলকানি।
প্রধানমন্ত্রীর মূল মঞ্চের পাশে থাকছে দুটি ছোট মঞ্চ, যা লম্বায় ৪০ ফুট, চওড়ায় ২৪ ফুট।
শনিবার ব্রিগেডের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন দলের কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা। রবিবার মোদির কাছাকাছি যাঁরা আসবেন, এদিন মঞ্চের পাশে ক্যাম্প করে তাঁদের কোভিড টেস্ট করা হয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, শিয়ালদা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং হাওড়া, রবিবার ব্রিগেডে বড় মিছিল পৌঁছবে মূলত এই ৩টি জায়গা থেকে।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মোদির পাশাপাশি রবিবারের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তীও। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, <আমার ওনার সঙ্গে কথা হয়েছে। মোদিজির নেতৃত্বের ওপর বিশ্বাস আছে, আমাকে জানিয়েছেন। যদি সম্ভব হয় কাল মিঠুনের সঙ্গে দেখা করতে চাই।
বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই বিজেপি সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন।
উত্তরবঙ্গ থেকে ব্রিগেডে আসার জন্য ২৪ কামরার একটি ট্রেনও ভাড়া করেছে বিজেপি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -