সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রচারে বেরিয়ে মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতার বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate Arrested)। চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) গ্রেফতার বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। তৃণমূলের (TMC) নির্দেশে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেসের। 


অশান্তির অভিযোগে ইতি নয়...
চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব জুড়ে জেলায় জেলায় তুমুল অশান্তির সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ। আদালত এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা জানালেও অশান্তির খবর এখনও বন্ধ হয়নি। এদিন যেমন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের ভেটাগুড়ি। সেখানে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ, সন্দেহের তির বিজেপির দিকে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ-বিক্ষোভ শাসক দলের। তৃণমূলের ওপর হামলায় দর্শক ছিল পুলিশ, ক্ষোভপ্রকাশ মন্ত্রী উদয়ন গুহর। হামলার অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। নদীয়ার করিমপুরে আবার বিজেপির আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সেখানেবিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিজেপির, অস্বীকার শাসক শিবিরের। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় আবার আক্রান্ত হয় সিপিএম। দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ ওঠে সেখানে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে সিপিএম। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। রয়েছে আরও অশান্তির অভিযোগ। যেমন, কুলতলি-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় বামেদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। কুলতলিতে আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করেছেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। কথা বলেছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। আক্রান্তদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন সিপিএম নেতৃত্ব। 


খানাকুলে তৃণমূল পরিচালিত অফিসে আগুন
খানাকুলে আবার পুড়ে ছাই হয়ে যায় তৃণমূল পরিচালিত (TMC Ruled Panchayat Bhawan)) পঞ্চায়েত ভবনের একাংশ। গত শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত অফিসের দোতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে দমকলে খবর দেন গ্রামবাসীরা। দমকল কর্মীদের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টা নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। পঞ্চায়েতের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি প্রধানের। দুর্নীতির (Corruption Evidence) নথি পোড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছে তৃণমূল, বিঁধেছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত অফিসের দোতলার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন স্থানীয় দমকল কেন্দ্রে। দু'টি ইঞ্জিনের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ততক্ষণে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে থাকা আলমারি-সহ অধিকাংশ ফাইল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খানাকুলের  অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু বরের দাবি, 'ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই সময় বাজ পড়েছে, সেখান থেকেই আগুন লাগতে পারে। পঞ্চায়েতের সব নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে।'পঞ্চায়েত অফিসের অগ্নিকাণ্ড, তুঙ্গে চাপানউতোর। দুর্নীতির নথি পোড়াতে ইচ্ছাকৃত আগুন, অভিযোগ বিজেপির। দুর্নাম রটাচ্ছে বিরোধীরা, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের বক্তব্য, 'পুরোটাই চক্রান্ত। ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে মনে হয়। পঞ্চায়েতের নানা দুর্নীতির কাজের প্রমাণ মেটাতেই নথি পোড়ানো হয়েছে। অথবা মজুত বোমা থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।' যদিও অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান শ্রীমন্ত হামবীরের বক্তব্য, পায়ের তলায় মাটি নেই বলে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীরা এসব দুর্নাম রটাচ্ছে। আগুন কীভাবে লাগল, তা খতিয়ে দেখছে দমকল ।


আরও পড়ুন:লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা