নারদে দলীয় তদন্ত: তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি-কংগ্রেসের, পাল্টা পার্থ

Continues below advertisement
কলকাতা: ফৌজদারি অপরাধ, তাও কেন দলীয় তদন্ত? নারদ নিউজের স্টিংকাণ্ডে তৃণমূলের ঘোষণাকে আক্রমণ অরুণ জেটলির। সারদা থেকে নারদ, অভিযুক্ত দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরাসরি তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার। নারদের স্টিং অপারেশন নিয়ে তৃণমূলের দলীয় তদন্তের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। রাজ্যে এসে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। বললেন, ঘুষ তো ফৌজদারি অপরাধ। দলীয় তদন্ত করে কী হবে? দল বড়জোড় পদক্ষেপ নিতে পারে, কিন্তু আইনি ব্যবস্থা তো দল নিতে পারে না, যেটা পারে পুলিশ অথবা সিবিআই। নারদের স্টিং অপারেশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও পদক্ষেপ নেবে না, রবিবার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অরুণ জেটলি। পাশাপাশি, তৃণমূলের অনুদান-তত্ত্ব নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী। বললেন, স্টিংয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ। তাঁর প্রশ্ন, অনুদান হলে, ওই টাকা কি নির্বাচন কমিশনকে কিম্বা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে দেখানো হয়েছে? উল্লেখ করা হয়েছে দাতার নাম? এদিন কলকাতায় এসে সারদা-নারদ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা। প্রশ্ন তোলেন, কেন এখনও দলীয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তাঁর কটাক্ষ, এখনও মমতা কোনও ব্যবস্থা নেননি। কারণ, তিনিই তো এই সিন্ডিকেটের মাথা, কী করে উনি ব্যবস্থা নেবেন? চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করে শনিবার কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল-সহ তিন বিরোধী দলের নেতার নাম টানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর নেপথ্যে অন্য কৌশল খুঁজে পাচ্ছে কংগ্রেস। আনন্দ শর্মা বলেন, এটা অর্থহীন বিষয়। তৃণমূল নেতাদেরই তো ফুটেজে দেখা গিয়েছে। এটা হাল্কা করার জন্য অন্য দলের নেতাদের নাম নেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস-বিজেপির আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় তদন্ত নিয়ে জেটলির খোঁচার জবাবে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, উনি নিজে করান না? মনে হলে তদন্ত করান। উনি তো অর্থমন্ত্রী। যেহতু দলকে সামনে রেখে করা হচ্ছে। তাই করা হচ্ছে। নির্বাচনী কাজে ৫০-৬০ লক্ষ কে জোগায়? তৃণমূল তৃণমূল না করে দেখুন। পাশাপাশি কংগ্রেসের আনা সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে কংগ্রেসকে পাল্টা দিয়েছেন পার্থ। বলেছেন, সিন্ডিকেটের মাথায় মমতা। ৬ বাই ৬ ঘরে থাকেন মমতা। বলে লাভ কী। বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, যারা সনিয়াকে রাঁধুনি বলেছে, ইন্দিরাকে ডাইনি বলেছে, ওদের কাছে পতাকা বিক্রি করছে। ওদের কথায় লাভ কী? সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে প্রধান ইস্যু সেই দুর্নীতি।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola