অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি (BJP)! একই অবস্থা ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ (BJP MP) কুনার হেমব্রমের (Kunar Hembram) বুথেও! যা নিয়ে সংগঠন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ। তৃণমূল অবশ্য কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি।
প্রার্থী নেই...
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি ভোট দিতে যাবেন বিজেপির দুই সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও কুনার হেমব্রম? এই প্রশ্নটাই এখন বড় দাঁড়িয়েছে। কারণ মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদরা যে বুথের ভোটার, সেখানে প্রার্থীই দিতে পারল না গেরুয়া শিবির!!! এই পরিস্থিতিতে দলের সংগঠন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতে ছাড়লেন না ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম!!! আর এই সুযোগে গেরুয়া শিবিরের দিকে কটাক্ষ ছু়ড়ে দিতে দেরি করেনি তৃণমূল! ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই চার নম্বর বুথের ভোটার তিনি। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল, সেই বুথেই এবার কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি! ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। তার মধ্যেও গতবার কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। মোট ১০টি আসনের মধ্যে ৮টিতেই জিতেছিল গেরুয়া শিবির! এমনকি দিলীপ ঘোষের বুথেও ৫০০ ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপিই! তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থী একটা করে আসনে জয়লাভ করেছিলেন। এবার এই গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩। শাসকদল সবকটি আসনে প্রার্থী দিলেও, বিজেপি ১১টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে। একই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে! এখানে কন্যেডোবার কিসমত ভরতপুর প্রাইমারি সকুলে ভোট দেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। সেই বুথেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮টি। শাসকদল সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি ১৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও, শুধুমাত্র সাংসদ যে বুথে ভোট দেন, সেখানেই প্রার্থী দিতে পারেনি দল! বিজেপি সাংসদের কথায়, 'এর আগে দিলীপদাও তো বলেছেন, ঠান্ডা ঘরে বসে সব ঠিক হয়। সমন্বয়ের অভাব। আমি যদি জানতাম প্রার্থী নেই আমার বুথে, তাহলে আমি আমার বউকে দাঁড় করাতাম। অন্তত ভোটটা তো দেওয়া যেত।' ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেত্রী ও সভাপতি রেখা সরেনের কটাক্ষ, 'বিজেপির জনসমর্থন নেই। তৃণমূলই জিতবে। এটা বোঝাই যাচ্ছে। ওদের নিজেদের মধ্যেই সমস্যা আছে। উন্নয়নের নিরিখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে।' এর আগে সামনে এসেছিল নন্দীগ্রামের ছবি! শুভেনদু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে এক তৃতীয়াংশ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি!! এবার দিলীপ ঘোষ ও কুনার হেমব্রমের বুথেও বিজেপির প্রার্থী দিতে না পারার তথ্য সামনে এল!
আরও পড়ুন:চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজন ক্যাস্টর অয়েল? কীভাবে চুলের খেয়াল রাখে এই তেল?