কলনা: চাকদার শিমুরালির পর কালনার কল্যাণপুর। আরও এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য। সকালে বাড়ির পাশে বাগান থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ঘটনাস্থলে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কালনার বিজেপি প্রার্থী ও বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। এরপরই কল্যাণপুরে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়। বিজেপি প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। এনিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


আজ সকালে বাড়ির পাশের বাগান থেকে বিজেপি কর্মী অখিল প্রামাণিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বিজেপি কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। ঘটনায় রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক কারণে আত্মহত্যা। 


উল্লেখ্য,  বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই উতরেছে পঞ্চম দফার ভোট। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয় নদিয়ার চাকদা বিধানসভার শিমুরালিতে।অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল। বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে দিনভর অবরোধ-বিক্ষোভ চলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।


পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত বিজেপি কর্মীর নাম দিলীপ কীর্তনিয়া। বাড়ি শিমুরালির মণ্ডলপাড়ায়। রবিবার সকালে বাড়ির পাশেই বাগান থেকে উদ্ধার হয় দিলীপের মৃতদেহ।খুনের অভিযোগে যাঁর নাম জড়িয়েছে, সেই দুলাল মণ্ডল শিমুরালির রাউতাড়ি অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি।


তিনি আবার মৃত বিজেপি কর্মী দিলীপ কীর্তনিয়ার প্রতিবেশীও বটে! একেবারে পাশাপাশি বাড়ি। সোমবার বিজেপি কর্মীরা অভিযুক্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার হদিশ নেই।


বিজেপি কর্মীর অপমৃত্যুর জেরে এভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শিমুরালিতে গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৪০ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিজেপি।এরই মধ্যে পালপাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ব্যস্ত সময়ে দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক ট্রেন।এর মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের একাংশ চাকদা থানা ঘেরাও করে...টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে।


এই ঘটনায় চাকদা থানায় দুলাল মণ্ডল-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।