পানাজি: ১৯৯৪ থেকে গোয়ায় ভোটপ্রচারে বিজেপি-র ভরসা মনোহর পর্রীকর। তিনিই এই রাজ্যে দলের প্রথম বিধায়কদের অন্যতম। গোয়ায় বিজেপি-র সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদানের কথা বিরোধী নেতারাও স্বীকার করেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য এবার প্রচার করতে পারবেন না পর্রীকর। তাঁকে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। তিনি প্রচার করতে না পারলে বিজেপি সমস্যায় পড়বে বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি। যদিও বিজেপি নেতারা সেটা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ীই প্রচার চলবে।


২০০০ সালে প্রথমবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন পর্রীকর। চারবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীনও সারা গোয়ায় প্রচারে ঝাঁপান তিনি। তার ফলও পায় বিজেপি। ফের গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন পর্রীকর। কিন্তু গত এক বছর ধরে তিনি গুরুতর অসুস্থ। গত মাসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের জনসভায় পর্রীকর জানান, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে যোগ দেবেন তিনি। কিন্তু সেই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে গোয়া বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবো জানিয়েছেন, ‘হয়তো এই প্রথমবার শারীরিকভাবে প্রচারে থাকতে পারবেন না পর্রীকর। তবে তিনি বাড়ি থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয় দেখছেন। পর্রীকরের পরামর্শের ভিত্তিতে দলের জয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন বিজেপি কর্মীরা। পর্রীকর বাড়ি থেকেই দলকে পরিচালনা করছেন। তাঁর কথামতোই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দল। তাই নির্বাচনী প্রচারে তাঁর না থাকার কোনও প্রভাব পড়বে না।’

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত গোয়া সুরক্ষা মঞ্চের নেতা সুভাষ ভেলিঙ্গকরের অবশ্য দাবি, পর্রীকরকে ছাড়া বিজেপি-র পক্ষে ভোটের ময়দানে লড়াই করা সহজ হবে না। ভোটের ফলে এর প্রভাব পড়বে।