শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস (Panchayat Election), ৩৬দিনে ৪৮ জনের মৃত্যু! কোচবিহারে (Coochbehar News) ভোটের আগের দিন আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর (BJP Worker) মৃত্যু। তুফানগঞ্জের শালবাড়িতে ভোটের আগের দিন সংঘর্ষ। ভোটের আগের দিন আক্রান্ত, আজ কোচবিহার মেডিক্যালে মৃত্যু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয়ন্ত বর্মনের উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির।


কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মৃত্যু


পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু সন্ত্রাস। রাজ্যজুড়ে মৃত্যু মিছিল যেন থামার নাম নেই। ভোটের আগের দিন হিংসায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তুফানগঞ্জের শালবাড়ির বিজেপি কর্মী। আজ তাঁর মৃত্যু হল। ভর্তি ছিলেন কোচবিহার মেডিক্যালে। ৩৬ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮। 


বিজেপি অভিযোগ, শালবাড়ির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মন বাজারে ছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুদিন ভর্তি থাকার পর গতকাল রাতে তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালে সেখানেই জয়ন্ত বর্মনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করেন। যদিও এই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে জড়িত নয়। 


প্রসঙ্গত, আজই কোচবিহারের শীতলকুচিতেও এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর খবর মেলে। নির্বাচনের দিন কোচবিহারের দুই জনের মৃত্যু হয়। তার আগেরদিন একজনের মৃত্যু হয়। এবং আজ দুই জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে নির্বাচনের আগের দিন থেকে কোচবিহারেই মৃতের সংখ্যা ৫। অন্যদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল। সবমিলিয়ে প্রায় ৭-এ গিয়ে পৌঁছল ভোট হিংসায় কোচবিহারে মৃতের সংখ্যা।


আরও পড়ুন: Panchayat Poll: জয়ী BJP প্রার্থী-সহ ২৫০জনেরও বেশি অসমে আশ্রয়, ঘরছাড়াদের ফেরাল কোচবিহার পুলিশ


মৃতের আত্মীয় ভবেন বর্মন বলেন, 'বাজার সেরে সেদিন ফিরছিল। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয়। ও বিজেপির সমর্থনে ছিল, ওকে বিজেপি করতে দেবে না। ভোটের আগের দিন বাড়ি এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিল। তৃণমূল না করলে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।' বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়ের অভিযোগ ভোটের আগেরদিন জয়ন্ত বর্মনের মাথায় আঘাত করে তৃণমূলের লোকজন, সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপর হাসপাতালে ভর্তি থেকেও জ্ঞান না ফিরলে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তৃণমূলের পাল্টা জবাব, 'যে কোনও মানুষ মারা গেলেই তাঁকে বিজেপির বলে চালিয়ে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার প্রচেষ্টা। যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখজনক। পুলিশ তদন্ত করছে, তাহলেই গোটা বিষয় পরিষ্কার হবে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial