কোচবিহার: বাংলায় বেলাগাম সন্ত্রাস, প্রাণ বাঁচাতে অসমে আশ্রয়। ৫দিন পরে অসম থেকে ফেরাল কোচবিহার পুলিশ। ভোটের পর থেকেই অবাধে সন্ত্রাস, অসমে আশ্রয়। তুফানগঞ্জের বালাভূত থেকে অসমের রানপাগলি গ্রামে আশ্রয়। জয়ী বিজেপি প্রার্থী-সহ ২৫০জনেরও বেশি পালিয়ে গিয়েছিলেন অসমে।সুরক্ষার আশ্বাস দিয়ে ঘরছাড়াদের ফেরাল কোচবিহার পুলিশ (Cooch Behar)।
প্রসঙ্গত, তখনও কর্ণাটক ভোটের ফলাফলের পুরো ছবি সামনে আসেনি। কিন্তু ততক্ষণে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের গন্ধ ধুকে পড়েছে কংগ্রেসের হেঁসেলে। আর এর পরেই মাস্টার প্ল্যান। জয়ী বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয় কংগ্রেস। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে সেসময় কংগ্রেস সূত্রে খবর উঠে আসে। তবে এবার কংগ্রেসের সেই দেখানো পথই অনুসরণ করল গেরুয়া শিবির ?
মূলত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকের ছবিরই পুনরাবৃত্তি দেখতে গিয়েছিল কোচবিহারের দিনহাটায় (Cooch Behar Dinhata)। জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের (BJP Candidate) অসমের গোপন ডেরায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। যদিও বাস মালিক ভিনরাজ্যে যেতে রাজি না হওয়ায় রাস্তায় আটকানো হয়েছিল বাস। এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন বাস মালিক। বিজেপি নেতৃত্বের (BJP) সাফাই ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীরা খাটা-খাটনি করেছিলেন। তাই ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা। যদিও বাংলায় ভোট-হিংসার শিকার প্রায় দেড়শোজন অসমে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
অপরদিকে, ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (BJP's Fact Finding Team)। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের টিমের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন, '৩৫৫-এর দাবি যুক্তি সঙ্গত, গণতন্ত্র বিপন্ন হলে দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। গণনাতেও খুন, জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দিলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন। ভোট ঘিরে এত সংঘর্ষ, এত মৃত্যু, বোমা, গুলি, এটাই কি কাম্য?'
আরও পড়ুন, ভয়ের ভাঙড়ে ফের বিস্ফোরণ, ঝলসে আহত অন্তত ১০
তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের আসা নিয়ে নিশানা করেছেন বিজেপিকে। গতকাল তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তাও কেন ভাঙড়ে কেন গন্ডগোল হল? বাইরে থেকে গুন্ডারা স্কুলে বোমা জমা করে রেখেছিল, পুলিশও আক্রান্ত। আমরা অনেক সহ্য করেছি, আমাদের এলাকাতেও পুনর্নির্বাচন করেছি। বাংলার বদনাম করে বেড়াচ্ছে, আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে!' এখানেই শেষ নয়, মমতার সংযোজন, 'কথায় কথায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, এজেন্সি, এভাবে দেশ চালানো যায় না। দেশ চালাতে হলে ধৈর্য ধরতে হয়।'