ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: বিক্ষোভের (Agitation) মধ্যেই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। কিন্তু আতঙ্কের শেষ হয়েছে কি? শনিবার গভীর রাত থেকেই সংঘর্ষ কবলিত ব্লকগুলি থেকে সিউড়ির বিজেপি পার্টি (Suri BJP Party Office)অফিসে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মীরা। কবে ফিরতে পারবেন তাঁরা? জানা নেই।


কী ছবি?
রাতের অন্ধকারে সিউড়ির দলীয় অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। চোখেমুখে আতঙ্কের রেশ কাটেনি। ঘরে ফেরার দিনক্ষণ এখনও জানেন না কেউ। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে সন্ত্রাস হয়েছে তাতে আতঙ্কিত দলীয় কর্মীরা। তাই যত ক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত পার্টি অফিসেই থাকবেন তাঁরা। একুশের বিধানসভা ভোটের পরও দলীয় কর্মীদের উপর বেধড়ক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ আনে বিজেপি। দাবি করা হয়, শাসকদলের সন্ত্রাসে তাদের বহু কর্মী ঘরছাড়া। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না, বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। 


অবরোধ বিজেপির...
এদিন বিজেপির অবরোধ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার রামপুর এলাকা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। জখম হন বাসের চালক। যদিও বিজেপির দাবি, দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া গাড়িতেই আগুন লাগানো হয়। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এবার ভোটের দিনও একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। গত কাল, উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়াতেই এক তৃণমূল প্রার্থীকে কুুপিয়ে খুনের অভিযোেগ তুমুল হইচই শুরু হয়। নিহতের নাম মহম্মদ শাহেনশা। বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা অঞ্চলের ১৯২ নম্বর বুথের ওই প্রার্থীকে খুন করেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ ছিল এমনই। প্রাথমিক ভাবে শোনা যায়, যে তাঁকে বুথের বাইরে এনে খুন করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। স্বয়ং জেলা তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এই অভিযোগ আনেন। গোটা ঘটনায় আরও ১০ থেকে ১২ জন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলেও খবর।শুধু চাকুলিয়া নয়, এদিন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকেই অশান্তির খবর মিলেছে। তালিকায় অন্যতম মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। রবিবার সকাল থেকে হিরানন্দপুরে নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দফায় দফায় বোমাবাজি। এলাকায় একের পর এক বোমা পড়ছে। থলে ভর্তি বোমা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষকৃতীরা। এদিক-ওদিক থেকে উড়ে আসছে আধলা ইট।আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। 
ভোট মেটার পরও কেন লাগাম পরানো যাচ্ছে না এই আতঙ্কের স্রোতে?


আরও পড়ুন:নির্দল প্রার্থীর বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে দাপাদাপি, ব্যাপক বোমাবাজি সালারে