মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিস্ফোরক ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত,..মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। '


 এদিন হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে, যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা পাল্টাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ২০০৮ সালে বাম আমলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, ভয়ঙ্কর নাড়া দিয়েছিল।এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি।


তিনি আরও বলেন, '২০০৮ সালে দায়িত্বে থাকার সময় বর্ধমানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিলাম। প্রচুর অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছিলাম। অভিষেক বলেছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন দিতে পারে। আমি নিজে থেকেই বিরোধীদের মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এত খুনোখুনি, মারামারি, কেন জিরো করতে পারছি না ? মৃত্যু কাম্য নয়, মৃতের পরিবারই জানেন এটা কতখানি কষ্টকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা। ভয়মুক্ত, রক্তহীন নির্বাচন করতে পারলাম না।'


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা শুরু হয় জেলায় জেলায়। মনোনয়ন পর্ব চলাকালীনও অশান্তির ঘটনার বহর বাড়তে থাকে। ভোটের আগে ও ভোটের দিন কম রক্তাক্ত হয়নি বাংলা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি ছাপ্পা ভোট এবং রিগিং ঘিরেও হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


ভোটের পরেও রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ। সালার থেকে সামশেরগঞ্জ, মুহুর্মুহু বোমাবাজি। তৃণমূল ও নির্দলদের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে সংঘর্ষ। বন্দুক হাতে দাপাদাপি। একের পর এক বুথে ব্যালট লুঠ। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় তুলকালাম হয়। এসইউসিআই কর্মীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। দোকান থেকে বের করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।ভোটপর্ব মেটার পরেও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অশান্তি অব্যাহত। আজ সকাল থেকে হীরানন্দপুরে নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বোমাবাজি। এলাকায় একের পর এক বোমা পড়ছে। চলছে ইটবৃষ্টি। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়েও গ্রামে ঢুকতে পারেনি সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।